এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মালদহের বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যাওয়ার পথে নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ মিলল গঙ্গায়। গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর কুড়ির দীপ্তি ভগত। পরিবারের দাবি, নাতনির খোঁজ না মেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর দাদু। দিন কয়েক আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বৃদ্ধের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন নাতনির দেহ মিলল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার ফিডার ক্যানেলে। কী ভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা দীপ্তি পড়াশোনা করতেন ঝাড়খণ্ডের দুমকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। গত ৫ জানুয়ারি মালদহ থেকে ট্রেনে করে রামপুরহাট যাচ্ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ট্রেন বদলে দুমকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনে ওঠার ঘণ্টাখানেক পর থেকে দীপ্তির সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবার। ওই দিনই দুপুরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ দীপ্তির মোবাইল, ব্যাগ এবং আরও কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে ফরাক্কা সেতুর কাছ থেকে। ব্যাগ থেকে মেলা পরিচয়পত্র এবং মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পর বাড়ির লোকজন উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রগুলি নিয়ে যান এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে থানায় দীপ্তির নামে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।
এর মধ্যে দীপ্তির দাদু মারা যান। রবিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টির দিনই দীপ্তির দেহ উদ্ধারের খবর পায় পরিবার। কয়েক দিনের ব্যবধানে পরিবারের দ্বিতীয় সদস্যের বিয়োগে শোকাহত প্রিয়জনেরা। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর একটা নাগাদ ফরাক্কার শঙ্করপুর ফেরিঘাটের কাছে এক নৌকাচালক ওই ছাত্রীর দেহ ভেসে উঠতে দেখেন। তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে শঙ্করপুর ফেরিঘাটে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে মৃতার পরিবারের লোকজন যান থানায়। বিকেলে তাঁরা দেহ শনাক্ত করেছেন বলে খবর। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘রবিবার দুপুরে ফিডার ক্যানেলের জলে তরুণীর দেহ ভেসে ওঠে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।’’