প্রতীকী ছবি।
তিন দিন আগে বৃদ্ধা মা মারা গিয়েছেন। তবে মায়ের দেহ সৎকার না করে বাড়ি তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেল ছেলে। বুধবার সকালে ওই পচাগলা দেহের দুর্গন্ধে ঘটনার কথা জানতে পারেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। তাঁদের আরও দাবি, মৃতার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত সুকুল রোড চৌরাস্তা এলাকায় একমাত্র ছেলে সুমন আচার্যকে নিয়ে থাকতেন ঝর্না আচার্য (৬৫)। সোমবার তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝর্নার স্বামী সুশান্ত আচার্য বছর ছয়েক আগে মারা যান। রক্তে সংক্রমণ জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ঝর্না। বুধবার সকাল থেকেই ঝর্নার বাড়ি থেকে বার হওয়া দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। এর পর তাঁরাই সুমনকে ফোন করেন। প্রতিবেশীদের দাবি, সুমন জানান যে মা মারা গিয়েছেন দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। সে জন্যই কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে তালাবন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এর পর তালা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকে ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনকে আটক করা হয়েছে। সুমন সত্যিই মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।