স্কুল ভবনে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল ভবনের মাথায় উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। হুগলির বলাগড়ের একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের এই দৃশ্য নজরে পড়তেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ঘটনার নিন্দা করে বিজেপি-র অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তৃণমূলের রাজনীতি হচ্ছে। তবে তৃণমূলের দাবি, ওই স্কুলে দুয়ারে সরকারের শিবির হওয়ায় কোনও দলীয় কর্মী হয়তো উৎসাহের বশে পতাকা লাগিয়েছিলেন, যা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুরে গত ২১ অগস্ট দুয়ারে সরকারের শিবির হয়। ওই দিন বলাগড় রঘুনাথপুর তফসিল উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উপরে তৃণমূলের পতাকা টাঙানো হয়েছিল। তার পর থেকে সেটি ওখানেই থেকে গিয়েছে। বিষয়টি নজরে পড়তেই তা নিয়ে আসরে নামে গেরুয়া শিবির। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের দাবি, ‘‘তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতির অবনতি হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তৃণমূলের রাজনীতি হচ্ছে, যা নিন্দনীয়। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি উপরে এবং নীচে মনীষীদের ছবি, এমনও দেখা গিয়েছে। এমনকি, জাতীয় পতাকার উপরে তৃণমূলের পতাকা, এ রকম দৃশ্যও প্রকাশ্যে এসেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে জাতীয় পতাকা তুলতে হয়, সেটাও হয়তো তৃণমূলের জানা নেই।’’
এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ওই স্কুল ভবন থেকে তড়িঘড়ি তৃণমূলের পতাকা খুলে ফেলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তথা হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় পতাকা থাকবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরাও দলের কর্মীদের তা মেনে চলতে বলেছি। বলাগড়ের রঘুনাথপুর তফসিল উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দলের পতাকা টাঙানো রয়েছে খবর পেয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে পতাকা খুলে ফেলতে বলেছি।’’ সেই সঙ্গে মনোজের দাবি, ‘‘ওই এলাকায় দুয়ারে সরকারের শিবির হয়েছিল। ফলে কোনও উৎসাহী তৃণমূল কর্মী হয়তো স্কুলে দলের পতাকা লাগিয়েছিলেন।’’