Nadia Murder Case

করিমপুরে সুদের কারবারিকে গলার নলি কেটে খুন! পাওনা আদায়ে বচসার জেরেই কি?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল বিশ্বাস (৬২)। এলাকায় তাঁর সুদের কারবার ছিল। সুদে টাকা ধার দিতেন তিনি। পাওনা আদায় নিয়ে অনেকের সঙ্গেই ঝামেলা ছিল তাঁর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৪
An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

নদিয়ার করিমপুরে এক সুদের ব্যবসায়ীকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালান দুষ্কৃতীরা। সুদের পাওনা আদায়ের বচসার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল বিশ্বাস (৬২)। এলাকায় তাঁর সুদের কারবার ছিল। সুদে টাকা ধার দিতেন তিনি। পাওনা আদায় নিয়ে অনেকের সঙ্গেই ঝামেলা ছিল তাঁর। করিমপুরের কানাইখালি বাজার এলাকা থেকে তিনি রবিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা পিছন দিক থেকে তাঁকে আক্রমণ করেন দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা তাঁর উপর চড়াও হন। মুহূর্তের মধ্যে দুলালের গলার নলি কেটে দেন দুষ্কৃতী।

রক্তাক্ত অবস্থায় অন্ধকার গলিতে পড়ে ছিলেন প্রৌঢ়। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করেন। করিমপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কানাইখালি বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে সুদের কারবার করতেন দুলাল। পাওনা আদায়ের জন্য তদ্বির করতেন। সেই বচসার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাতে এক প্রৌঢ়কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। তদন্ত চলছে।’’

উল্লেখ্য, দুলাল এক সময়ে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের নেপথ্যে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। মূলত টাকা লেনদেনের ঝামেলার কারণেই প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন