PM Narendra Modi

ঘুরপথে কৃষি আইন! নীতি খারিজ পঞ্জাবের

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে কৃষি পণ্য বিপণনের জাতীয় নীতি বা ‘ন্যাশনাল পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক অন এগ্রিকালচার মার্কেটিং’-এর খসড়া পাঠিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৬
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির সীমানা অবরোধ করে কৃষক সংগঠনগুলির এক বছরের আন্দোলনের পরে মোদী সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। এ বারে কৃষি পণ্য বিপণন নিয়ে খসড়া নীতির নামে মোদী সরকার ফের সেই কৃষি আইন খিড়কির দরজা দিয়ে ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠল। পঞ্জাবের আপ সরকার মোদী সরকারের এই খসড়া নীতি খারিজ করে দিয়ে একই অভিযোগ করেছে। কৃষক সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা আগামী সপ্তাহে এই খসড়া নীতির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে কৃষি পণ্য বিপণনের জাতীয় নীতি বা ‘ন্যাশনাল পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক অন এগ্রিকালচার মার্কেটিং’-এর খসড়া পাঠিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। পঞ্জাব সরকার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী কৃষি রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রের এ বিষয়ে কোনও নীতি তৈরি করা উচিত তো নয়-ই। উল্টে, এ বিষয়ে নীতি তৈরির ভার রাজ্যের উপরে ছেড়ে দেওয়া উচিত। পঞ্জাব সরকারের অভিযোগ, তিন কৃষি আইনে যে সব নীতি তৈরির চেষ্টা হয়েছিল, তার অনেক কিছুই আবার এই নীতিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

সরকারি ভাবে কৃষি মন্ত্রক এই খসড়া নীতির বিষয়ে ঘোষণা করেনি। মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এই নীতিতে দেশ জুড়ে অভিন্ন কৃষি বাজার তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। অভিন্ন লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা এবং একবার মাত্র ফি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হবে। বেসরকারি পাইকারি বাজার তৈরি হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা, রফতানিকারী, বড় ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে সরাসরি পণ্য কিনে নিতে পারবে। কৃষি পণ্যের গুদাম, হিমঘরকেই বাজার বলে ধরে নেওয়া যাবে।

আন্দোলনকারী সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লার অভিযোগ, ‘‘এ হল খিড়কির দরজা দিয়ে তিন কৃষি আইন চালু করা। আগের তিন কৃষি আইন বাধ্য হয়ে প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। তখন কৃষকদের ফসলের দামের আইনি গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা শেষ মানেনি। এখন সরকারি নির্দেশিকার মাধ্যমে একই নীতি চালু করতে চাইছে।’’ সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক)-র নেতা জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল গত দু’সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন। তাঁর অনশন ঘিরে ফের সমস্ত সংগঠনকে এককাট্টা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি দেশ জুড়ে কেন্দ্রের খসড়া নীতি পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোর্চা। ২৬ জানুয়ারি পঞ্জাবে ট্রাক্টর অভিযান হবে।

কৃষি আইনের প্রথমটি ছিল কৃষি পণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন আইন। লক্ষ্য ছিল ‘এক দেশ, এক কৃষি বাজার’। দ্বিতীয় আইনে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, গম, ভোজ্যতেল, তৈলবীজ যত ইচ্ছে মজুত করার ছাড়পত্র দেওয়া ছিল। তৃতীয় আইন ছিল কৃষকদের চুক্তি চাষে সুরক্ষা ও ফসলের মূল্য নিশ্চিতকরণ আইন। এই কথাগুলিই এখন কৃষি বিপণন নীতিতে বলা ছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন