Jangipur Hospital

মেদিনীপুরের পর এ বার মুর্শিদাবাদ, রাজ্যে ফের প্রসূতির মৃত্যু! পরিবারের প্রশ্ন হাসপাতালের ভূমিকায়

বুধবার দুপুরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। শুক্রবার তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে জঙ্গিপুর হাসপাতালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছে পরিবার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:০০
জঙ্গিপুর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জঙ্গিপুর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল, রাজ্যে ফের প্রসূতিমৃত্যু। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদে। মৃতার নাম হাসিনা খাতুন (২৬)। প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। এক পুত্রসন্তানের জন্মও দেন তিনি। পরিবারের সন্দেহ, এর পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ওই প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেও এখনও লিখিত ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা কিছু জানাননি। জঙ্গিপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার মহিলা প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করায় তাঁকে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিন সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। সে দিনই সন্তান প্রসব করেন মহিলা। সিজ়ার করা হয় মহিলার। দুপুরে ২টো নাগাদ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। মৃতার স্বামী হাসেম শেখের দাবি, সিজ়ারের পর হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানানো হয়, প্রসূতি এবং সদ্যোজাত উভয়েই ভাল রয়েছে। কিন্তু এর পরে কী ভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে, সে বিষয়ে পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ মৃতার স্বামীর। প্রসূতিকে দেখার জন্য বেশ কয়েক বার অনুরোধ করলেও, সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে দাবি পরিবারের।

এর পর শুক্রবার ভোরে ওই মহিলাকে জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই স্বজনহারা পরিবার জঙ্গিপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের সন্দেহ, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল এবং সে বিষয়ে তাঁদের অন্ধকারেই রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। পরিবারের ক্ষোভের বিষয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁরা পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও চার প্রসূতি। মৃত্যু হয়েছে এক অসুস্থ প্রসূতির সদ্যোজাতেরও। নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। নিলম্বিত করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে।

Advertisement
আরও পড়ুন