প্রতীকী চিত্র।
একটি মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদে চলল বোমা, গুলি। রঘুনাথগঞ্জ থানার পদ্মাপাড়ের সীমান্ত এলাকা সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলায় সোমবার সন্ধ্যেয় এই ঘটনার পর থেকে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এক যুবককে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
ঘটনার শুরু একটি মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে। যে ভাবেই হোক মেয়ের বিয়েটা ভেঙে যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে এক প্রতিবেশী যুবকের উপর। এই নিয়েই শুরু হয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদের। এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের এক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বে মারধর, বাড়ি ঘর লুটপাট করা হয়। এমনকী বিকেলে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সদলবলে বোমা ও পিস্তল নিয়ে চড়াও হয় পাত্রীর বাড়িতেও। বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়া হয়, পর পর দু রাউন্ড গুলিও চলে। প্রথম গুলিটি ফাঁকা বেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় গুলিটি গিয়ে লাগে পাত্রীর কাকা হাইকুল শেখের বাম হাতে। তাঁকে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে, সেখান থেকে রাতেই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গ্রামে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় ।বিবদমান দু পক্ষই তৃণমূল সমর্থক হলেও পুলিশও অত্যন্ত কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দুই পক্ষের ৯ জনকে গ্রেফতার করে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সমিরুদ্দিন বিশ্বাস জানান, ‘‘দু’পক্ষই তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক ঠিকই, কিন্তু পুলিশকে বলা হয়েছে কড়া ব্যবস্থা নিতে। পাত্রীর বিয়ে ভেঙে যাওয়া থেকে সন্দেহের শুরু। তাতেই অশান্তি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নেহাত গ্রাম্য, পারিবারিক বিবাদ যে এতদূর গড়াতে পারে ভাবা যায়নি। পরিস্থিতির উপর আমরাও নজর রেখেছি।’’
রঘুনাথগঞ্জ থানার আই সি পার্থ ঘোষ জানান, এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।