এখানেই ছিল আমবাগান। নিজস্ব চিত্র।
কিছুদিন আগে আমের মরসুমে আমের ভারে লুটিয়ে পড়েছিল গাছগুলি। তবে আজ আর সেই সব আমগাছের কোনও অস্তিত্ব নেই। লালবাগ-লালগোলা রাজ্য সড়কের পাশে লালবাগের কুর্মিতলা পাওয়ার হাউস এলাকার একটি আমবাগান এখন ধুধু মাঠ। অভিযোগ, একদল জমি মাফিয়া রাতারাতি গাছ কেটে সাফ করে দিয়েছে। আমবাগানের জমি এখন বিক্রির অপেক্ষায়। সেই সংক্রান্ত বোর্ডও ঝুলছে রাস্তার পাশেই।
লালবাগ-বহরমপুর সড়কে কারবালার কাছে রাস্তার পাশেই একটি বড় আমবাগান ছিল মাসদুয়েক আগেও। বর্তমানে সেই আমগাছগুলি কেটে সাফ। ওই জমিতে এখন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এভাবেই বিভিন্ন প্রজাতির আমের জন্য বিখ্যাত মুর্শিদাবাদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক আমগাছ। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শ’য়ে শ’য়ে আমগাছ কেটে গড়ে উঠছে বড় বড় হোটেল, বাড়িঘর। বন দফতর সূত্রে খবর, অনুমতি না নিয়েই সেই সব গাছ কাটা হচ্ছে। আমগাছ কাটায় জমি মাফিয়ারা যুক্ত বলেই জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন সব দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, কোনও গাছ কাটতে ওই দফতরের অনুমতি নিতে হয়। সেই গাছ কাঠ হিসেবে বিক্রি করতে বন দফতর থেকে অনুমতির স্লিপ নিতে হয়। কিন্তু আম গাছ কেটে বিক্রি করতে ওই স্লিপ দরকার পড়ে না। আর সেই নিয়মের ফাঁক গলেই লুকিয়েচুরিয়ে আমগাছ কাটার পর তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তবে বন দফতরের বহরমপুর নর্থ রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা গাছ কাটার খবর পেলেই ব্যবস্থা নিই। এর আগে খড়গ্রামে এবং জিয়াগঞ্জে আগাম খবর পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করছি।’’ মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একদল জমি মাফিয়া একের পর আমবাগান সাফ করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে মানুষকে এক হতে হবে। প্রশাসনেরও উচিত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা।’’