আহত সবুজ দাস। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ে। পুজোর ছুটির পর কলেজ খুলতেই টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মারপিটে চার জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কল্যাণী থানার পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে হয়। দুই পক্ষই পুলিশের কাছে ডায়েরি করেছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। এর মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ায় ধুন্ধুমার বেধে যায়। দু’টি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। কল্যাণীর টিএমসিপি সভাপতি অঙ্কুর মজুমদার বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে কলেজে ঢুকে সংগঠনেরই কয়েক জনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।
আহত তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সুবীর মণ্ডল, প্রথম বর্ষের সবুজ দাসদের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে অঙ্কুর কলেজে ঢুকে বিরোধী গোষ্ঠীর কয়েক জনের কাছে জানতে চান, তাঁরা কেন কার অনুমতি নিয়ে কলেজে ঢুকেছেন। এর পরেই মারধর শুরু হয়। তবে অঙ্কুরের , “ঘটনাটি যখন ঘটে, আমি ওখানে ছিলাম না। পরে খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে জানাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেই আমি সেখানে গিয়েছি।”
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে অঙ্কুরের ব্যাখ্যা, “কিছু বহিরাগত ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে এই কাজ করেছে। বহিরাগতেরা যাতে কলেজে ঢুকতে না পারে তার জন্য আমরা আগেই অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম।” আর, রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে-র বক্তব্য. , “কলেজের ভিতরে এমন গন্ডগোল অভিপ্রেত নয়। কলেজ পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।”