Migratory Birds

২০ কিমি দীর্ঘ পাখি ধরার জাল বাজেয়াপ্ত খড়গ্রামের বেলুন বিল থেকে, বাঁচল বহু পরিযায়ী পাখির প্রাণ

পাখির চোরাশিকারীরা জাল বিছিয়ে ওত পেতে বসে থাকে সেই সব এলাকায়। সেই ফাঁদে পড়ে বহু পাখি অকালে মারা যায়। যে পাখিগুলি বেঁচে যায় তা চড়া দামে বিক্রি হয়ে যায় চোর বাজারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৬
বিশাল আকারের পাখি ধরা জালটি নিয়ে বনকর্মীরা।

বিশাল আকারের পাখি ধরা জালটি নিয়ে বনকর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।

চিন, মঙ্গোলিয়া কিংবা সুদূর রাশিয়া। শীতকালে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি চলে আসে বাংলার বিভিন্ন বিল, জলাজমি এলাকায়। তেমনই এক জায়গা হল মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের বেলুন বিল। কিন্তু সেখানেই অতিথি পাখিদের ধরতে জাল বিছিয়েছিল পাখির চোরাশিকারীরা। রীতিমতো অভিযান চালিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই জাল বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর। অভিযানে বনকর্মীদের সঙ্গে ছিল পুলিশও।

Advertisement

বেলুন বিল থেকে পাখি ধরা জাল উদ্ধার করল বন দফতর ও পুলিশ। শনিবার গোপন সূত্রে বন দফতরের আধিকারিক খবর পান, বেলুন বিলে পাখি ধরে জাল বসিয়েছে বেআইনি পাখি শিকারীরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে বন দফতর। বেলুন বিলের গিয়ে তাঁদের সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ। নজরদারির ফাঁক গলে বিলে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাল বিছিয়ে রেখেছে পাখির চোরাশিকারীরা। বিরাট সেই জালটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনকর্মীদের দাবি, প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাখির জালের ওজন ৪০ থেকে ৫০ কেজি। এর আগে এত বড় জাল ধরা পড়েনি।

অভিযোগ, শীতকালে দূরদূরান্ত থেকে ওই এলাকায় আসে পরিযায়ী পাখিরা। পাখির চোরাশিকারীরা জাল বিছিয়ে ওত পেতে বসে থাকে সেই সব এলাকায়। সেই ফাঁদে পড়ে বহু পাখি অকালে মারা যায়। যে পাখিগুলি বেঁচে যায় তা চড়া দামে বিক্রি হয়ে যায় চোর বাজারে। এই কারণেই পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে অভিযোগ করেন পাখিপ্রেমীরা। বন দফতর সজাগ থাকলেও নজর এড়িয়ে গোপনে চলে এই কাজ। এত বড় জাল উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের অনুমান হয়তো বড় কোনও ফন্দি এঁটেছিল চোরাশিকারীরা। সেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অনেক পাখির প্রাণ বাঁচল।

আরও পড়ুন
Advertisement