অসুস্থ জাকির। নিজস্ব চিত্র।
ফের বুধবার দুপুরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত বাঁ পা নিয়ে চিন্তা এখনও কাটেনি তাঁর। প্রায় সাড়ে ৫ মাস ধরে কলকাতা ও তামিলনাড়ুতে একাধিক অপারেশনের পরও পায়ের অবস্থা স্বাভাবিক নয়। মাঝে মধ্যেই অস্বাভাবিক যন্ত্রণা কাটাতে ব্যথার ওষুধ খেয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। বাঁ পা ফেলতেই পারছেন না তিনি এখনও।
এই অবস্থায় এসএসকেএমের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে জাকিরকে ফের তামিলনাড়ুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা। তার পরিবারের লোকেরাও জাকিরের পায়ের অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
এদিকে নিজের পায়ের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই নিমতিতা রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ কাণ্ডে আহতদের ক্ষতিপূরণের জন্য রেল মন্ত্রকের কাছে দাবি জানালেন জাকির হোসেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি রাতের ওই বিস্ফোরণে যে ২৭ জন আহত হন তাদের কয়েকজনের হাত, পা উড়ে যায়। আজও তাঁরা স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। রাজ্য সরকারের দেওয়া ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য থেকেই চলছে তাদের সংসার।
বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়েও কার্যত হতাশ প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁর দাবি, রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। আহতদের প্রায় সকলেই গরিব ও দিনমজুর। তাই প্রত্যেকের জন্য ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে রেল মন্ত্রককে। সকলেরই বয়স ৩০ বছরের নীচে। হাত পা হারানো এদেরই একজন নাসিবুল শেখ।
আহতরা সকলেই জাকির অনুগত হলেও সকলেই তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী তা কিন্তু নয়। বেশির ভাগই কাজ করতেন স্থানীয় কোন না কোন বিড়ি কারখানায়। জাকির বলেন, “এনআইএ’র অফিসারদের গোড়ার দিকের তৎপরতা এখন নজরে পড়ছে না। গত ৪ মাস এনআইএ’র কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। মামলায় কোনও চার্জসিটও পেশ হয়নি। সিআইডি তদন্তও বন্ধ। রেল মন্ত্রকের তরফে কিছুই করা হয়নি।”