আহিরণে রেল সেতুর মুখে লাইনের তলা থেকে মাটি ধুয়ে গিয়েছে। সরেজমিনে দেখতে গিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে আহিরণের কাছে প্রায় ৩০ মিটার মাটি ধুয়ে যাওয়ায় বিপজ্জনক হয়ে ঝুলছে রেল লাইন। পূর্বরেলের আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা রেলপথের আহিরণ সেতুর পাশেই দুপুর নাগাদ এই ঘটনা নজরে আসতেই সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আহিরণের এই ধস সামনে আসে। তারপরেই মেরামতির কাজ শুরু হয় জরুরি ভিত্তিতে।
মালদহের ডিআরএম জিতেন্দ্র প্রসাদ বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ৮ ঘণ্টার আগে এই ধস সারানো যাবে বলে মনে হয় না। চেষ্টা চলছে। কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকুড়, রামপুরহাট হয়ে। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, নবদ্বীপ এক্সপ্রেস ও হাওড়া–জামালপুর এক্সপ্রেস।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ দিয়েই গিয়েছে এই রেল লাইন। পাশেই প্রায় ২০০ মিটার লম্বা আহিরণের ফিডার ক্যানাল সেতু। আশপাশের জমি থেকে জাতীয় সড়ক ও এই রেল লাইন প্রায় ১০ মিটার উঁচুতে। মুর্শিদাবাদের সর্বত্র দুদিন থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলেই মাটি ধুয়ে গড়িয়ে পড়ছে নীচে জমি ও ফিডার ক্যানালে। আর তাতেই তলা থেকে মাটি সরে গিয়ে কার্যত ঝুলে রয়েছে রেল লাইন।
কয়েকশো বালি বোঝাই বস্তা ফেলা হয়েছে রেল লাইনের পাশে ও তলায়। এখনও বালির বস্তা ফেলে আলগা মাটিকে শক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
ডিআরএম বলেন, “বৃষ্টির ফলেই লাইনের তলার মাটির ক্ষতি হয়েছে। তাই আহিরণ সেতুর কাছে রেল লাইন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। পাশেই গভীর ফিডার ক্যানাল। ১০ মিটার নীচে মূল জমি। ফলে সমস্যা হয়েছে। লাইন সারাতে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। যতক্ষণ না রেল লাইন ১০০ শতাংশ বিপদমুক্ত বলে নিশ্চিত হচ্ছি ততক্ষণ ট্রেন চলবে না। লাইন সারানোর পর দু’একটি ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে আগে দেখা হবে।”
মালদহ ডিভিশনের রেলের জন সংযোগ অফিসার পবনকুমার জানান, ইতিমধ্যেই এই রেলপথের সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন পাকুড়, রামপুরহাট হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।