Imprisonment

বছর তিনেক আগের অপরাধের সাজা পেলেন এক মহিলা! পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা বিচারকের

জাল নোট পাচারের অপরাধে প্রায় সাড়ে তিন বছরের মাথায় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করল জঙ্গীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। জঙ্গীপুর মহকুমায় এই প্রথম কোনও এক মহিলার জাল নোট কাণ্ডে সাজা হল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০১:৪১

— প্রতীকী চিত্র।

প্রায় তিন বছর আগে জাল নোট পাচারের জন্য মালদহের কালিয়াচক থেকে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পাননি। হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত। জাল নোট পাচারের অপরাধে প্রায় সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাঁর সাজা ঘোষণা করল জঙ্গীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। জঙ্গীপুর মহকুমায় এই প্রথম কোনও এক মহিলার জাল নোট কাণ্ডে সাজা হল।

Advertisement

বুধবার জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত, প্রথম ফাস্টট্র্যাক আদালতের এজলাসে সাজা ঘোষণা হল অভিযুক্তের। ৪৮৯ (সি) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা অভিযুক্ত সাঞ্জিমা খাতুনকে।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের নিউ ফারাক্কা বাসস্ট্যান্ডে ভোর বেলা বাস থেকে নামেন ওই মহিলা। সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালায়। সন্দেহজনক মহিলাকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৪ লক্ষ্য টাকার জাল নোট। ধৃত সাঞ্জিমাকে গ্রেফতারের পর পরবর্তীতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়। দীর্ঘ দিন মামলা চলার পর অবশেষে তাঁর সাজা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের তথ্যের ভিত্তিতে মোট ন’জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর দোষী প্রমাণিত হন ওই মহিলা। সাজা ঘোষণা হয় বুধবার।

সরকারি আইনজীবী রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, ৫০০ টাকার ৮০০টি নোট উদ্ধার হয় ওই মহিলার ব্যাগ থেকে। উদ্ধার হওয়া নোটগুলি যে নকল সেই রিপোর্ট আসে মেদিনীপুর থেকে। সব দিক বিবেচনা করে বিচারক তাঁর সমস্ত মামলা প্রমান করেছে। এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত, প্রথম ফাস্টট্র্যাক আদালতের বিচারক অনিল কুমার প্রসাদ ৪৮৯(সি) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

Advertisement
আরও পড়ুন