Murshidabad

তৃণমূলের জেলা কমিটিতে স্বাস্থ্যকর্তা! ঘরে-বাইরে বিতর্ক তৈরি হতেই তড়িঘড়ি মোছা হল নাম

শাসক তৃণমূলের জেলা কমিটির তালিকায় জেলা স্বাস্থ্যকর্তার নাম! বুধবার সেই তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:০৩
তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির তালিকা ঘিরে বিতর্ক। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির তালিকা ঘিরে বিতর্ক। ফাইল চিত্র।

শাসক তৃণমূলের জেলা কমিটির তালিকায় জেলা স্বাস্থ্যকর্তার নাম! বুধবার সেই তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে শেষমেশ তালিকা থেকে বাদ পড়ল স্বাস্থ্যকর্তার নাম।

মঙ্গলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্ব, সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই বুধবার মুর্শিদাবাদ দক্ষিণে তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা করেন জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। ২১১ জনের সেই কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরেই তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। তালিকা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্কও। দেখা যায়, জেলা সম্পাদকের তালিকায় ১৪ নম্বরে রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজীব সান্যালের নাম। শাহনাজ কবীর নামে আরও এক জন চিকিৎসকের নাম ছিল সেই তালিকায়।

Advertisement

বিরোধীরা তো বটেই, দলের অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে তরজা চলে। জেলা সভানেত্রী শাওনিকে সরাসরি আক্রমণ করেন আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘‘এটা লজ্জার তালিকা! জেলা সভানেত্রী আমলাদের পদলেহন করতে দিয়ে এই কাণ্ড করেছেন। অবিলম্বে এই তালিকা প্রত্যাহার করতে হবে।’’ রাজ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন সাংসদ। যাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেই রাজীব অবশ্য বলেন, ‘‘আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তাই কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’

এই আবহে শাওনি জানালেন, বিষয়টি নজরে আসার পরেই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নাম তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভুলবশত রাজীবের নাম তালিকা ঢুকে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন জেলা সভানেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘উনি আমাদের ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। ব্যাপারটা গুলিয়ে গিয়েছিল। নজরে আসতেই উনি ছাড়াও আরও এক চিকিৎসকের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনও কারণ নেই।’’

এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনের দলীয়করণের নিকৃষ্ট উদারহণ। তৃণমূল দলটা চালাচ্ছেন প্রশাসকেরা।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘এর চেয়ে চূড়ান্ত অপদার্থতা আর কী হতে পারে! এ বার ওদের দলটা তুলে দেওয়া উচিত!’’

আরও পড়ুন
Advertisement