Beedi Labours

Beedi Labour: শর্ত ছাড়াই মজুরি বৃদ্ধির দাবি বিড়িতে

মিক সংগঠনগুলি সরাসরি এই শর্ত মানতে অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছে মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে কোটপা আইন কার্যকরী করার কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
অরঙ্গাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২১ ০৬:০৫
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বুধবার থেকে নামার সিদ্ধান্ত নিল সিটু, আইএনটিইউসি সহ ৬টি ইউনিয়ন। মালিকেরা অবশ্য শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে সহমত হলেও তার সঙ্গে শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনগুলি। সে শর্ত হল, কেন্দ্রীয় সরকার যদি তামাকজাত কোটপা আইন চালু করে বিড়ি শিল্পের উপর নির্দেশ জারি করে তবে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি বিবেচনা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

শ্রমিক সংগঠনগুলি সরাসরি এই শর্ত মানতে অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছে মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে কোটপা আইন কার্যকরী করার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই নিঃশর্তে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ঘটাতে হবে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা করে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার অরঙ্গাবাদে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে সিটু, আইএনটিইউসি সহ ৬টি শ্রমিক সংগঠন আলোচনায় বসেন। সেখানে ৪ থেকে ২৮ অগস্ট এক মাস ধরে গোটা জঙ্গিপুর মহকুমা জুড়ে বিক্ষোভ, সভা, মিছিল, সড়ক অবরোধ, কারখানা ঘেরাও প্রভৃতি কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিটুর বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ আজাদ বলেন, “৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। মজুরি বৃদ্ধির কথা মালিকেরা মৌখিক ভাবে জানালেও এখনও কোনও বৈঠক ডাকেন নি। তা ছাড়া কোটপা আইনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে পাশ কাটাতে চাইছেন তারা। তা মানা সম্ভব নয়। তাই ৪ অগস্ট থেকে পথে নামছি আমরা ৬টি ইউনিয়ন।”

আইএনটিইউসি’র জঙ্গিপুর মহকুমা বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ূন রেজা বলেন, “পথে নামা ছাড়া উপায় কী? সেই ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শেষবার মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি চালু হয়েছে। না চেঁচালে তো মা দুধ দেয় না। তাই পথে নামছি।”

অরঙ্গাবাদ বিড়ি মালিক সমিতির সম্পাদক রাজকুমার জৈন জানান, প্রায় সাড়ে ৩ বছর মজুরি বাড়েনি শ্রমিকদের। তাঁরা শ্রমিকদের প্রতি মানবিক। জিনিসপত্রের মুল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু সংসদে কোটপা আইন কার্যকরী হলে এই মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন তাঁরা। কারণ কোটপা আইনে বিড়ি শিল্প ধংসের মুখে পড়বে।

রাজকুমার জৈন বলেন, “বর্তমানে এক মুঠোয় ২৫টি বিড়ির দাম ১৫ টাকা। খুচরো বিড়ি বিক্রি বন্ধ এবং সমস্ত বিড়ি বিক্রেতা, এমনকি চায়ের দোকানগুলিকেও বিড়ি বিক্রির জন্য লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। এই বর্ষা অধিবেশনে লোকসভায় কোটপা আইন চালুর সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে বিড়ি শিল্প প্রায় বন্ধের মুখে পড়বে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement