প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় কল্যাণীর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বটলিং প্লান্টের পাঁচ জনম অস্থায়ী কর্মীকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁরা ইতিমধ্যে সংস্থা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
ওই অস্থায়ী কর্মীদের অন্যতম অনুপ দাসের অভিযোগ, তাঁদের কাছে গেটপাস থাকার সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষী আটকে দেন। বলা হয়, তাঁরা বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তৃণমূল প্রভাবিত আইএনটিটিইউসি-র সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের ঢুকতে দিতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েক মাস তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। মাইনেও পাচ্ছেন না। কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের পরামর্শে গত ১২ জুন তাঁরা লিখিত ভাবে সংস্থার কল্যাণী শাখার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। তিনি আশ্বাসও দেন, যাতে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেন তা দেখবেন।
কিন্তু এর পরেও অনুপেরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। মঙ্গলবার বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা আবার লিখিত অভিযোগ দিতে যান। এ দিন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রবীর সরকার না থাকায় আর এক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শরদিন্দু মোহান্তকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিধায়ক বলেন, “আজ কর্তৃপক্ষকে জানালাম, যাতে এই পাঁচ জনকে কাজে বহাল করা যায়। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।”
অনুপ বলেন, “আগেও আমরা সংস্থার আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কাজ হয়নি। মানবাধিকার কমিশনে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তখন কল্যাণী থানা থেকে খোঁজখবর করা হয়। তার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।” শঙ্কর কাহার নামে যে নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করছেন, তিনি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে ওই বটলিং প্লান্টের শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক নিমাই কুণ্ডু বলেন, “ওরা আমাদের ইউনিয়নের সদস্য ছিল। বছরখানেক আগে দল থেকেই ওদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করেছে। ইউনিয়ন থেকে নাম কেটে যেখানে যাবে যাক। এই জন্য ওদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
তবে অনুপের দাবি, তাঁরা কোনও রাজনীতি করেন না। সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রবীর সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।