Adhir chowdhury

রানিনগরে পুলিশের উপর কংগ্রেসের ‘হামলা’য় ক্ষমা চাইলেন অধীর, তবে অনড় ‘আঁতাঁত’ তত্ত্বে

রানিনগরে সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা-সহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩০

—ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের রানিনগরে পুলিশের উপর দলীয় কর্মীদের ‘হামলা’র ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অধীর চৌধুরী। তবু নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। শনিবারও বহরমপুরের সাংসদ দাবি করলেন, পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে উত্তেজনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। পাশাপাশিই, ‘মিথ্যা মামলা’য় জেলে যাওয়া দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অধীর।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’কে ‘বিলম্বিত বোধোদয়’ বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসক তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘অধীরবাবু যদি বুঝে থাকেন যে, তাঁরা ভুল করেছেন, সেটা মন্দের ভাল। তবে বোধোদয়টা আগে হলে ভাল হত। বিলম্বে হল।’’

কংগ্রেস ও বাম সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে— এমন অভিযোগ ওঠায়, ওই দুই দলের আক্রমণে শুক্রবার বিকেলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা চত্বর। থানা ও তৃণমূলের একটি দলীয় দফতর ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূলের দফতরের আসবাবপত্র বাইরে এনে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে হয় ধস্তাধস্তিও। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের বেশ কয়েক জন জখম হন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) অসীম খান জানিয়েছিলেন, রানিনগর থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এক জন অফিসার-সহ চার জন পুলিশ জখম হয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জের একটি কর্মিসভা থেকে অধীর জখম পুলিশ কর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। অধীর বলেন, ‘‘রানিনগরের ঘটনায় কোনও পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হলে আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’’

এর পরেই শাসকদল ও পুলিশের আঁতাঁতের অভিযোগ তোলেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ সভায় ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা দিয়েছে পুলিশ ও তৃণমূল। পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ আঁতাঁতে কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্দোষ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।’’

প্রসঙ্গত, রানিনগরে সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা-সহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শনিবারই লালবাগ আদালতে হাজির করানো হয়েছে। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, অগণতান্ত্রিক ভাবে তাদের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করিয়েছে তৃণমূল। বাম, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব শাসকদল তৃণমূল। সব মিলিয়ে গোলমালের ২৪ ঘণ্টা পরেও উত্তপ্ত রানিনগর।

আরও পড়ুন
Advertisement