Unnatural Death

বধূকে ‘খুন’ করে হাসপাতালের সামনে দেহ ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! জলঙ্গিতে অভিযোগ ঘিরে শোরগোল

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে পাশের গ্রামের মোশারফ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ইবরিজার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই একাধিক বার বিভিন্ন কারণে নির্যাতনের শিকার হতেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জলঙ্গি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০১:০৩
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বধূকে ‘খুন’ করে তাঁর দেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতার নাম ইবরিজা খাতুন (২৫)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কীর্তনীয়াপাড়া এলাকায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত অবস্থায় ইবরিজাকে হাসপাতালের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জলঙ্গি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঠিক কী ভাবে যুবতির মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, শুক্রবার হঠাৎ হাসপাতালের তরফে যুবতির বাবাকে ফোন করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জলঙ্গি থানায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাপের বাড়ির পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে পাশের গ্রামের মোশারফ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ইবরিজার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই একাধিক বার বিভিন্ন কারণে নির্যাতনের শিকার হতেন তিনি। দুই সন্তান হওয়ার পরেও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত ইবরিজার উপর। তাঁর বাবা জানান, মেয়ে নিজেই পরিস্থিতি সামলে নিতেন। তিনি অত্যাচারের কথা কাউকে কিছু বলতেন না।

ঠিক কী কারণে ইবরিজার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহে কোনও ক্ষতের চিহ্ন আছে কি না সেটাও পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সবটা জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement