(বাঁ দিকে) মুকেশ অম্বানী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর হাতে আগেই দেওয়া হয়েছিল। গত জুন মাসে তারা কাজ শুরু করে। মঙ্গলবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই সংস্কারের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাইলেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। বিশ্ব বাংলা অডিটোরিয়ামে মুকেশ বলেন, ‘‘কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ করছে রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। সংস্কারের কাজ আমার এবং নীতার (তাঁর স্ত্রী) হৃদয়ের খুব কাছের। আমরা তত্ত্বাবধান করছি। এই সুযোগ আমাদের দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।’’
গত চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তখনই কমিটির কাছে মন্দির সংস্কারের বিষয়ে জানতে চান তিনি। মন্দির কমিটির একাংশের দাবি, সংস্কারে বিলম্ব হওয়ার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই তিনি উদ্যোগী হন কলকাতা পুরসভার হাত থেকে নিয়ে রিলায়্যান্স গোষ্ঠীকে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব দিতে।
২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। মন্দির কমিটি ও পুরসভার মধ্যে কথাবার্তায় ঠিক হয়, ১৮ মাসের মধ্যে কালীঘাট মন্দির সংস্কার শেষ করা হবে। সেই মতো কাজও শুরু হয়। কিন্তু প্রায় চার বছর পরেও মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি। মাঝে অবশ্য দু’বছর কোভিডের জন্য থমকে ছিল।
মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কুণ্ডপুকুর, মন্দিরের চাতাল-সহ ভিতর এবং বাইরের দেওয়াল, বলির জায়গা-সহ গোটা মন্দির চত্বর সংস্কার করছে রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। তবে সংস্কারের যাবতীয় কাজ হবে কালীঘাট মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখেই। মা কালীর গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির গ্রেড ‘এ’ হেরিটেজের তালিকাভুক্ত। তাই সংস্কারের জন্য কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটি ও হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। তা-ও মিলেছে। কালীঘাট মন্দির সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার কথা।