Jiban Krishna Saha

ফোন-রহস্যে নতুন মোড়! পুকুর থেকে পাওয়া প্রথম মোবাইলের মালিক আসলে কে? জলেই গেল সব চেষ্টা!

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া ফোনটি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারই। এ বার সিবিআই সূত্রে দাবি, ফোনটি বিধায়কের নয়!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩১
উদ্ধার হওয়া মোবাইল জীবনকৃষ্ণ সাহার নয়? উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার হওয়া মোবাইল জীবনকৃষ্ণ সাহার নয়? উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র।

টানা ৩২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, পুকুর থেকে জল ছেঁচে তোলার পর একটি মোবাইলের হদিস মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, উদ্ধার হওয়া ফোনটি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারই। এ বার সিবিআই সূত্রে দাবি, ফোনটি বিধায়কের নয়! ফোনটি উদ্ধার হওয়ার পর নিজের ফোন বলে দাবি করে জীবনকৃষ্ণ স্রেফ তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের অনুমান, ফোনটি বিধায়কের নয়, তাঁর স্ত্রীর! এই পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীকে এ বার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও ভাবছেন তদন্তকারীরা।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ৪টে নাগাদ তল্লাশি অভিযান শেষ করে সিজ়ার লিস্ট প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্তের হওয়ার জিনিসের তালিকায় ছিল বিধায়ক ও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোন। অভিযোগ, ফোনে থাকা তথ্য তদন্তকারীদের থেকে আড়াল করতে শৌচালয়ে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ির পিছনের পাঁচিল টোপকে পানাপুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন বিধায়ক। এই আচরণে হতবাক তদন্তকারীরা নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন বিধায়ককে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাতে মেলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মোবাইল ফোন উদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে সিবিআই। তিনটি পাম্প বসিয়ে পুকুর ছেঁচে জল তোলা হয়। সেই পাম্প বন্ধ করা হয় শনিবার রাত ১টা নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে সিবিআই মনে করেছিল, পুকুরের সমস্ত জল তুলে ফেলা গিয়েছে। কিন্তু ভোররাত থেকে আবার পুকুরে জল বাড়তে থাকে। ভোর ৩টে নাগাদ আরও একটি পাম্প চালানো হয় জল তোলার জন্য। রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ওই পুকুরের সব জল তুলে ফেলা সম্ভব হয়। এর পর ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ একটি মোবাইল খুঁজে পান গোয়েন্দারা।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে জানিয়েছে, ফোন উদ্ধারের পর কয়েক দফার জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত যে, ফোনটি জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীর। ফোনের ভিতরে থাকা কাদা জল বার করে যত ক্ষণ না সেটি অন করা হচ্ছে, তত ক্ষণ অবশ্য পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের দাবি, তদন্তকারী দলের মোবাইল বিশেষজ্ঞ দ্রুততার সঙ্গে ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement