Kdnapped Girl rescued

জেলবন্দি বাবার আর্জিতে উদ্ধার অপহৃত কিশোরী কন্যা

২০১৭ সালে একটি খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় ভগবানপুরের বাসিন্দা সৌরভ মেটিয়া-র। গত পনেরো মাস ধরে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে তিনি রয়েছেন।

Advertisement
গোপাল পাত্র
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

খুনে অভিযুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জেলে থাকাকালীন তাঁর নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছিলেন আত্মীয়দের কাছ থেকে। জেলে বসেই অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও শিশু সুরক্ষা দফতরের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অপহৃত নাবালিকা উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

২০১৭ সালে একটি খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় ভগবানপুরের বাসিন্দা সৌরভ মেটিয়া-র। গত পনেরো মাস ধরে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে তিনি রয়েছেন। আগেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দুই নাবালিকা মেয়ে মামাবাড়িতে দাদুর কাছে ছিল। গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ তাঁর নাবালিকা ছোট মেয়ে মামাবাড়ি ছেড়ে একা নিজের বাড়িতে চলে আসে। সেই বাড়িতে নাবালিকা একাই থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, পাশের গ্রামের সদয় মাইতি নামে এক বিবাহিত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যেরা ওই নাবালিকাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে। জোর করে সদয়ের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, মনোমালিন্যের জেরে সদয়ের আগের স্ত্রী ও ছেলে বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা রয়েছেন।

জেলা থাকাকালীন গত ২০ ডিসেম্বর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ছোট মেয়ের অপহরণ ও বিয়ের কথা জানতে পারেন সৌরভ। মেদিনীপুর সংশোধনাগারে বসেই জেল সুপারের মাধ্যমে পুর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের গত ৩ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ জানান তিনি।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবক সদয় মাইতিকে ভগবানপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত যুবককে বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালিকা মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করায় আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন জেলবন্দি বাবা।

Advertisement
আরও পড়ুন