Birbaha Hansda

মেয়েকে বাঁচান! মেদিনীপুর মেডিক্যালে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার পা ধরে আকুতি অসহায় বাবা-মায়ের

খোদ মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি রিঙ্কু। সটান গিয়ে মন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে বিরবাহার কাছে তাঁর মিনতি, ‘‘মেয়েটাকে বাঁচিয়ে দিন!’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫১
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে মেয়েকে বাঁচানোর আর্তি বাবা, মায়ের।

মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে মেয়েকে বাঁচানোর আর্তি বাবা, মায়ের। — নিজস্ব চিত্র।

মেয়ে ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অবস্থা ভাল নয়। চোখের সামনে পৃথিবী যখন ধসে পড়ছে মায়ের, তখন সামনে পেলেন রাজ্যের মন্ত্রীকে। মন্ত্রীরা তো সবই পারেন! অতঃপর, বিরবাহা হাঁসদার পা ধরে মেয়েকে বাঁচানোর আকুতি জানালেন অসহায় মা-বাবা। আচমকা এমন কাণ্ডে হতচকিত মন্ত্রী আশ্বাস দিলেন যথাসর্বস্ব করার।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে কলগাঙের বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। রাত ১১টা নাগাদ তার অস্ত্রোপচার হয়। বাড়ির লোকেরা জানাচ্ছেন, শনিবার আবারও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, এর পর থেকে মেয়ের অবস্থার আরও অবনতি হয়। রবিবার ভোরে হাসপাতাল জানায়, মেয়ে ভাল নেই। তা শুনে অকূলপাথারে পড়েন পরিবারের লোকেরা। অন্যত্র স্থানান্তরের সম্ভাবনাও নেই। তা হলে উপায় কী!

অন্য দিকে, শনিবার লালগড় এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে ইতিমধ্যেই এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি আরও কয়েক জন। রবিবার সকালে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। আর খোদ মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি রিঙ্কু। সটান গিয়ে মন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে বিরবাহার কাছে তাঁর মিনতি, ‘‘মেয়েটাকে বাঁচিয়ে দিন!’’

প্রথমে অবাক হলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধাতস্থ হন মন্ত্রী। রিঙ্কুকে পা ছাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেন। কানে কানে দেন সান্ত্বনা। অসহায় মাকে মন্ত্রী জানান, তিনি নিজে বাচ্চাটিকে দেখতে যাবেন। কথা বলবেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। যা যা করা প্রয়োজন, সব কিছুই করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন অসহায় পরিবারটিকে। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ভিতরে ঢুকে বাচ্চাটিকে দেখে এসেছি। সুপারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। চিকিৎসা যাতে ভাল করে হয়, তা নিশ্চিত করছি। মায়ের অসহায়তা আমি বুঝি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement