TMCP

শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে নাম সিভিক ভলান্টিয়ারের! নন্দীগ্রামের ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতর

২৮ জুলাই টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করে টিএমসিপি। যেখানে বিভিন্ন ব্লকের আহায়কদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৩
Controversy arises after the name of a civic volunteer came out as the convenor of TMCP in Purba Medinipur

শেখ আসিফ ইকবাল কাজি। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির আহ্বায়কের তালিকায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, নন্দীগ্রাম থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম প্রকাশিত হয়েছে টিএমসিপির আহ্বায়কের তালিকায়। যদিও তৃণমূলের দাবি, ছাত্র সংগঠন স্বাধীন ভাবে কাজ করে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মূল সংগঠনের কোনও যোগ নেই। টিএমসিপির দাবি, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্তফা দিয়েছেন।

আগামী ২৮ জুলাই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করে টিএমসিপি। যেখানে বিভিন্ন ব্লকের আহ্বায়কদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে ওই তালিকায় দু’জনের নাম রয়েছে। যার মধ্যে শেখ আসিফ ইকবাল কাজি নন্দীগ্রাম থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পণ্ডার দাবি, ‘‘এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামে তৃণমূল এবং তার ছাত্র সংগঠনের বেহাল দশা। অন্তর্দ্বন্দ্বও চরমে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ছাত্রদের আহ্বায়ক করা হয়েছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, “প্রশাসনিক কাজে যুক্ত এক জন কী ভাবে রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারেন? এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে শাসক দল এবং তার শাখা সংগঠনগুলির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।’’

Advertisement

টিএমসিপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ দের দাবি, ‘‘শেখ আসিফ ইকবাল কাজি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। আমার কাছে সব কাগজ আছে। তিনি ছাত্রনেতা হিসেবে উপযুক্ত বলেই তাঁকে আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক করা হচ্ছে।’’ তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি পীযূষকান্তি ভুঁইয়ার আবার দাবি, “সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্বাধীন ভাবে কাজ করে। আগামী ২৮ তারিখ ছাত্র সংগঠনের বড়সড় অনুষ্ঠান। সেই কারণে যৌথ ভাবে আহ্বায়ক নির্বাচিত করে তাঁদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম কলেজে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই ওরা বিতর্ক করেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement