জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্সি জেলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কী চিকিৎসা হচ্ছে, জানা যাচ্ছে না। ঠিক মতো ইনসুলিন পাচ্ছেন না। শুক্রবার এমন দাবিই করলেন তাঁর আইনজীবী। কলকাতা নগর দায়রা আদালতে ছিল জ্যোতিপ্রিয়ের মামলার শুনানি। সেখানেই এই দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। ৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। শুক্রবার সেই নিয়ে মামলার শুনানিতে যদিও হাজির ছিলেন না রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, জ্যোতিপ্রিয়ের কী চিকিৎসা হচ্ছে, জানা যাচ্ছে না। ঠিক মতো ইনসুলিন পাচ্ছেন। সে কারণে জ্যোতিপ্রিয়, যিনি বালু বলেই বেশি পরিচিত, তাঁর আইনজীবীর তরফে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর মাঝরাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। পরের দিন আদালতে শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আদালত থেকে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। হেফাজত শেষে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। তার আগে ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সামনে তিনি একাধিক বার নিজের অসুস্থতার কথা বলেন। আদালতেও নিজের অসুস্থতার কথা জানান বালু। তিনি বলেন, ‘‘বাঁচতে দিন।’’ তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ৩৫০-এর বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। বালুর কথা শোনার পর বিচারক তাঁকে সেলে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শুনানির পরের দিন প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়।
এর পর জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাঁর ঘরে সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছিল। শেষে গত ১৩ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। আবার পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। এ বার তাঁর আইনজীবী আদালতে দাবি করলেন, তাঁর মক্কেল জেলে ঠিক মতো ইনসুলিন পাচ্ছেন না।