—প্রতীকী চিত্র।
তরুণীকে বস্তায় ভরে জীবন্ত অবস্থাতেই খালে ফেলে দিয়েছিল আততায়ী। রিজেন্ট পার্কের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ। তা থেকেই জানা গেল, তরুণীর মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। অর্থাৎ, তাঁকে বস্তায় ভরে যখন জলে ফেলা হয়েছিল, তখনও তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। পুলিশের অনুমান, আততায়ী হয়তো ভেবেছিল, তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। হয়তো তিনি সে সময়ে সংজ্ঞাহীন ছিলেন। তরুণীর মাথায় আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে বস্তায় ভরে বস্তার মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রিজেন্ট পার্কের শান্তিনগর এলাকার একটি খাল থেকে তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বস্তার মুখ সেলাই করা ছিল বটে, তবে এক পাশ থেকে সেলাই কিছুটা খুলে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিল তরুণীর চুল। তা দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে। বস্তা থেকে উদ্ধারের সময় তরুণীর দেহে ছিল কমলা রঙের টি-শার্ট এবং কালো ট্রাউজ়ার। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিন থেকে চার দিন আগে তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তাঁর শরীরে মাদক নেওয়ার কিছু প্রমাণ মিলেছে। তবে জলে ডুবে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশের অনুমান, তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বস্তায় ভরে বস্তার মুখ সেলাই করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। জলে ফেলার আগে বস্তার ভিতরে থাকা অবস্থাতেই তাঁর মাথায় আঘাত লাগে।
তরুণীর হাতে তিনটি উল্কি রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তার মধ্যে দু’টি ঈগলের ছবি আঁকা। অন্য একটি উল্কিতে লেখা রয়েছে ‘মোবারক’। এটি কারও নাম, না কি এর অন্য অর্থ রয়েছে, দেখা হচ্ছে। তরুণীর নাম বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আশপাশের এলাকায় ওই বয়সি কেউ সম্প্রতি নিখোঁজ হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।