রিজেন্ট পার্কে দেহ উদ্ধার। —প্রতীকী চিত্র।
রিজেন্ট পার্ক এলাকায় খালের ধারে পরিত্যক্ত একটি বস্তা থেকে উদ্ধার দেহ। মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনাটি রিজেন্ট পার্কের শান্তিনগরের। সেখানে খালের উপর এক সেতুর নীচে বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিত্যক্ত ওই বস্তাটি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই। বস্তার মুখ সেলাই করা। সেলাইয়ের একাংশ খুলে, সেখান থেকে চুল বেরিয়ে এসেছিল। সেই দেখেই সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। তাঁরাই খবর দেন রিজেন্ট পার্ক থানায়। খবর যায় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছেও। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি খুলতেই উদ্ধার হয় দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষজনের মধ্যে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। কার দেহ, কী ভাবে খালের ধারে এল, সে নিয়েও কৌতুহল তৈরি হয় এলাকাবাসীদের মনে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, বস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহটি একটি যুবতীর। বয়স আনুমানিক পঁচিশ-ত্রিশের আশপাশে। দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরতে শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান, কয়েক দিন আগেই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। বস্তাবন্দি ওই যুবতীর দেহ শান্তিনগর খালের সেতুর নীচে কী ভাবে এল, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের অনুমান, অন্য কোনও জায়গা থেকে বস্তাটি খালের জলে ভেসে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই যুবতীর কী ভাবে মৃত্যু হল, তাঁকে খুন করে বস্তায় পুরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
বস্তা থেকে উদ্ধারের সময় যুবতীর দেহে ছিল কমলা রঙা একটি টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজ়ার। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই, কী ভাবে মৃত্যু সে বিষয়ে আভাস মিলতে পারে। তবে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে আশপাশের এলাকায় এই বয়সি কেউ নিখোঁজ হয়েছেন কি না, সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।