—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলকাতা মেট্রোর বেশির ভাগ স্টেশনেই ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার শুধুমাত্র ওই ব্যবস্থা চালু করে তিনটি স্টেশনকে বুকিং কাউন্টার বিহীন করতে উদ্যোগী হলেন কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের ‘পার্পল’ এবং ‘অরেঞ্জ’ লাইনে অবস্থিত তারাতলা, সখেরবাজার এবং কবি সুকান্ত স্টেশনে কোনও টিকিট বুকিং কাউন্টার থাকবে না। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করল কলকাতা মেট্রো। কর্তৃপক্ষের দাবি, আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে আরও এক কদম এগিয়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।
তারাতলা, সখেরবাজার এবং কবি সুকান্ত— এই তিনটি স্টেশন থেকে যাত্রীদের দৈনিক যাতায়াত সীমিত। মেট্রো সূত্রে খবর, তারাতলা স্টেশনে দিনে গড়ে ৭০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতি দিন গড়ে ২২০ জন যাত্রী কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করেন। আর সখেরবাজার স্টেশনে এই সংখ্যাটি মাত্র ৫৫। যে হেতু তিনটি স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা খুবই কম, তাই মেট্রো সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১ অগস্ট থেকে তিনটি স্টেশনকে বুকিং কাউন্টারবিহীন করে দেওয়া হবে। মেট্রো একে তাদের অন্যতম পাইলট প্রকল্প হিসাবে দেখছে।
ওই তিন স্টেশন থেকে আগামী ১ অগস্ট থেকে টোকেন, নতুন স্মার্ট কার্ড বিক্রি বা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য কোনও বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে না। টিকিট বুকিংয়ের জন্য কোনও কর্মীও থাকবেন না। পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (এএসসিআরএম) থেকে টোকেন, স্মার্ট কার্ড, কাগজের কিউআর কোড-ভিত্তিক টিকিট কিনতে হবে। ওই মেশিনগুলি থেকে স্মার্ট কার্ডও রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা। সে জন্য তিনটি স্টেশনে ইতিমধ্যে ওই মেশিন বসানো হয়ে গিয়েছে। এক একটি স্টেশনে দু’টি করে এএসসিআরএম থাকছে। মেট্রোর দাবি, কলকাতা মেট্রোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আরও মনোরম করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। যাত্রীরা এএসসিআরএম থেকে ইউপিআই পেমেন্টের মাধ্যমে টিকিটের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
এ নিয়ে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘কলকাতা মেট্রোকে আরও স্মার্ট, আরও আধুনিক করার চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে আমরা ১০০ শতাংশ ডিজিটাইজ়েশন করার জন্য কিছু স্টেশনকে চিহ্নিত করেছি। এই স্টেশনগুলিকে আমরা ‘নো কাউন্টার স্টেশন’ করছি। যাত্রী সুবিধার্থে তিনটি স্টেশনে শুধুমাত্র ইউপিআই পেমেন্টের সুবিধা চালু থাকবে। যত ক্ষণ স্টেশন খোলা থাকবে, এই পরিষেবাও চালু থাকবে।’’ কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, মেট্রো ব্যবহারকারীরা নতুন এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাবেন। আগামী ছ’মাস মেট্রো কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করবেন। ছ’মাস পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।