—প্রতীকী চিত্র।
এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ‘অন্তঃসত্ত্বা’ ছাত্রীর বাবা দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের। তার মধ্যেই অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি থানার একটি শ্মশানঘাটের কাছে যুবকের দেহ মেলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, লোকশিল্পী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন ওই অভিযুক্ত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে এক নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ওই লোকশিল্পী। ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরিবারের লোকজন। গোটা বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার মধ্যেই শুক্রবার অভিযুক্তের মৃত্যুর খবর মেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে একটি শ্মশানের কাছে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর যায় পুলিশের কাছে। এর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছিল, নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হয়, কাউকে এ নিয়ে কিছু বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
পুরো ঘটনার তদন্তে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, ‘‘অভিযোগকারিণীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সে অন্তঃসত্ত্বা। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘটনাচক্রে তিনি সম্পর্কে অভিযোগকারিণীর পিসেমশাই। আজ (শুক্রবার) মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল অভিযুক্তের। কিন্তু অভিযোগ, এলাকারই একটি শ্মশানঘাটে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলজে পাঠানো হয়েছে।’’