—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মণ্ডপসজ্জার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে শহরের আনাচেকানাচে। মণ্ডপ তৈরির নানা সামগ্রী জড়ো করা হচ্ছে পুজো প্রাঙ্গণে। ফলে বর্ষায় জল জমে সেখানে মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তাই ডেঙ্গির প্রকোপের কথা মাথায় রেখে পুজো এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়াতে চলেছে দমদমের তিন পুরসভা। পুজো প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোথাও যাতে জল জমতে না পারে, সেই দিকে নজর দিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকেও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিন পুর কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই দমদমের তিন পুরসভা এলাকা মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি ৪০০ হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ দমদমেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি এবং জ্বরে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাই পুজোর আগে পুজো প্রাঙ্গণের দিকে নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, একটি আলাদা দল গঠন করে প্রতিটি পুজো প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে সেখানে জমা জল বা পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজরদারি চলবে এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ করা হবে। দক্ষিণ দমদমের পুর চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, যে ভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল সেই তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুজো প্রাঙ্গণ ও সংলগ্ন জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বলা হবে পুজো কমিটিগুলিকেও। কোনও ভাবেই যাতে জল জমতে না পারে, তা নিয়ে প্রতিটি পুজো কমিটিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট। উত্তর দমদমের এক পুর আধিকারিকও জানান যে, এই নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হবে।