Doctor's hunger strike

জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জোগাতে ধর্মতলায় আরও বেশি সংখ্যায় সিনিয়রেরা, ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন

রবিবার তিন জন সিনিয়র ডাক্তার ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন। সোমবার সকাল থেকে ধর্মতলায় ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন প্রায় জনা দশেক সিনিয়র ডাক্তার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪১
সোমবার সকালে ধর্মতলায় প্রতীকী অনশনে সিনিয়র ডাক্তার কোয়েল মিত্র।

সোমবার সকালে ধর্মতলায় প্রতীকী অনশনে সিনিয়র ডাক্তার কোয়েল মিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন প্রায় জনা দশেক সিনিয়র ডাক্তার। জুনিয়রদের আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা দিতেই এই প্রতীকী অনশন তাঁদের। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি যাতে সরকার পক্ষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে, সেই আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি মানলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনের পদ্ধতিতে বদল এসেছে। পূর্ণ কর্মবিরতির তুলে নিয়েছেন তাঁরা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন। সোমবার তাঁদের অনশনের তৃতীয় দিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী অনশনও শুরু হয়েছে। রবিবার ব্যক্তিগত ভাবে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছিলেন তিন জন সিনিয়র চিকিৎসক। দু’জন ছিলেন সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার এবং এক জন ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের। পাশাপাশি নাগরিক মঞ্চের এক প্রতিনিধিও রবিবার বসেছিলেন ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সোমবার সকাল থেকে আরও বেশি সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তারেরা শামিল হলেন প্রতীকী অনশনে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। শনিবার রাতে প্রাথমিক ভাবে ৬ জন সিনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছিলেন। সেখানে আরজি করের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। তবে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর, রবিবার রাত থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিও। বর্তমানে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন চালাচ্ছেন ধর্মতলায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পিডিটি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা এবং ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা বসেছেন অনশনে। এ ছাড়াও রয়েছেন এসএসকেএমের পিডিটি অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য, কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং আরজি করের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অনিকেত মাহাতো।

রবিবারই ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর তরফে জানানো হয়েছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে তাঁরাও অনশনে বসবেন। কবে থেকে এবং কোথায় তাঁরা অনশনে বসবেন, সেই বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন তাঁরা। তবে রবিবার সিনিয়র ডাক্তারদের ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কিংবা সোমবার সকালে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের সঙ্গে ওই চিকিৎসক সংগঠনের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত স্তরে আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা নিয়েই প্রতীকী অনশনে বসেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement