সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে তাঁকে প্রার্থী করার পর তৃণমূলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল সায়ন্তিকার নাম ঘোষণার পর একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞ আমার দলের কাছে। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বরাহনগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে তাঁরা যে আমার উপর বিশ্বাস এবং ভরসা করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত যে আমি জয়ী হয়ে এই আসনটি আমার দলের হাতে তুলে দিতে পারব।’’
বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে তাপস রায় ইস্তফা দেওয়ার পর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বস্তুত, যে রাজ্যে যে দিন ভোট, সেদিনই উপনির্বাচনও হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিলেন কমিশনার। ফলে লোকসভা ভোটের আবহেই বাংলার ভগবানগোলা ও বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র দু’টিতে ভোট হবে। আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় ভগবানগোলা আসনে ভোট। ১ জুন রয়েছে বরাহনগরের ভোট। দুই আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বরাহনগরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সজলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৃণমূল প্রার্থী করল সায়ন্তিকাকে। শুক্রবার ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার’ অভিযোগ করে সায়ন্তিকা বলেন, ‘‘জনতার গর্জনে হবে জমিদারের বিসর্জন। সবাই মিলে এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’’
গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। বাঁকুড়া আসন থেকে প্রার্থী করা হয় অরূপ চক্রবর্তীকে। সভা শেষের আগেই মূল মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নেমে ব্রিগেড ছেড়ে বেরিয়ে যান সায়ন্তিকা। তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে কানাঘুষো রটনাও হয়েছিল। সায়ন্তিকা তা না-মানলেও বাঁকুড়া লোকসভায় মনোনয়ন না-পেয়ে তাঁর অভিমান যে হয়েছিল, তা মেনে নিয়ে জানিয়েছিলেন, দলের সঙ্গে তো তাঁর নিয়ত যোগাযোগ থাকে। দল তাঁকে লোকসভায় টিকিট না-দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিতে পারত। তিনি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনের জন্যই পরিশ্রম করেছিলেন বলে দাবি করেন। তার আগে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে পরাজিত হন। তার পরও অবশ্য রাজনীতির ময়দানে থেকে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই হয়তো লোকসভায় টিকিট পাওয়ারও বাসনা তৈরি হয়েছিল। বরাহনগর বিধানসভার প্রার্থী হয়ে দলকে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেত্রী-নেত্রী।