Bansdroni Student Death

রাতভর বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্নায় বসে রূপা, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী

রাত পেরিয়ে সকাল। এখনও বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্নায় বসে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৮
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রাত পেরিয়ে সকাল। এখনও বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্নায় বসে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে।” বুধবারই রূপা জানিয়েছিলেন, যত দিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তত দিন তিনি থানায় বসে থাকবেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, বাঁশদ্রোণী থানা চত্বরে বসে রয়েছেন রূপা। তিনি জানান, রাতে এক বার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। তাঁর কথায়, “অভিযুক্তদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলি। পুলিশ আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। কিন্তু অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার বিষয়ে কোনও আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। বলা হল, আইন আইনের পথে চলবে।”

বুধবার সকালে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক নবম শ্রেণির ছাত্র কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। সেই সেন্টারের কাছে চলছিল রাস্তা সারাইয়ের কাজ। সেখানে থাকা এক জেসিবি ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে। পিষে দেয় গাছের সঙ্গে। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ওই ছাত্রের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। ক্ষোভ জমেছে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। বিকালে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে শুরু হয় ধরপাকড়।

এই ঘটনায় লাগে রাজনীতির রংও। পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় পৌঁছে যান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। নেতৃত্বে রূপা। থানার ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবিকে আটক করে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঁশদ্রোণী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। বুধবার রূপা বলেন, “আমি রাতটা থানাতেই থাকব। সকাল থেকে ওঁরা ধরতে পারেননি অভিযুক্তদের। তবে আমি আশা করছি ওঁরা ধরে ফেলবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement