কাটা মুন্ডু উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শুক্রবার উদ্ধার হয়েছিল প্লাস্টিকে মোড়া কাটা মুন্ডু। শনিবার মিলল আরও দেহাংশ! কলকাতার গল্ফগ্রিনের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টানা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মৃতার জামাইবাবু। জেরার মুখে মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত।
শনিবার দীর্ঘ জেরার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আতিউর লস্কর। তাদের দাবি, জেরার মুখে অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই মহিলার বাকি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শ্যালিকাকে কেন খুন করলেন ওই ব্যক্তি, তা জানতে এখনও তদন্ত চলছে। মৃতার সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক ঠিক কী রকম ছিল, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই মহিলাকে খুন হতে হল কি না, সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতেই মৃতার নাম, পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মহিলার নাম খাদেজা বিবি। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে রাতেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়া হয়। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। এর পরেই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় একটি বহুতল আবাসনের পিছনে আবর্জনার স্তূপ থেকে ওই মহিলার কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছিল। প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা ছিল মাথাটি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নিয়ে আসা হয় পুলিশের ডগ স্কোয়াড। এর পর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘স্নিফার ডগ’ নিয়ে নিকটবর্তী একটি আবাসনেও যান তদন্তকারীরা। আবাসনের বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।