প্রতীকী ছবি।
কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এমনকি নদিয়া জেলার হুগলি নদী লাগোয়া বিভিন্ন পুরসভায় ঘোলা জল সরবরাহের সমস্যা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার টুইট করে জলের কালোবাজারিরও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানান, প্রথম দু’দিন সমস্যা হলেও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
মঙ্গলবার শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, ‘কলকাতা এবং হুগলি নদীর তীরবর্তী হুগলি জেলার মানুষ পানীয় জলের সঙ্কটে। সরবরাহ করা জলের মান খারাপ। সুযোগ বুঝে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা বোতলজাত পানীয় দলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নদিয়ার শান্তিপুরেও একই অবস্থা।’
People residing in Kolkata & Hooghly district, near the river bank of the Hooghly river are facing crisis of drinking water. Opportunists have increased the rate of packaged drinking water in this situation due to poor water supply. Similar situation in Shantipur; Nadia.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 5, 2021
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক মঙ্গলবার জানান, রবিবার ভোরে এমন অবস্থা শুরু হয়। পরের ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি খারাপ ছিল। কিন্তু এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার জল শোধন প্রকল্পগুলিতে গঙ্গা থেকে যে জল তোলা হচ্ছিল তা প্রচণ্ড ঘোলা ছিল। ফলে ঠিক ভাবে পরিশোধন করা যাচ্ছিল না। পুরসভার ৫টি জল পরিশোধন প্রকল্পের মোট কর্মক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করা যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি। এখন ধীর ধীরে জল পরিশোধনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন ওই আধিকারিক। একান্ত প্রয়োজনে জল পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম সরাসরি ঘোলা জলের সমস্যার জন্য ডিভিসি-কে দুষেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ডিভিসি মাত্রাতিরিক্ত হারে জল ছাড়ায় এই দশা। এর ফলে জলের তোড়ে গঙ্গার পলি উঠে আসছে। পুরসভার পলতা এবং গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প লাগোয়া গঙ্গা থেকে জল তোলার সময়ে জলের পরিবর্তে পলি উঠছে। ওই জল পরিশোধন করতে দেরি হচ্ছে। জলের গতি কম থাকায় জলের সরবরাহের পরিমাণও অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা আর দিন দুয়েক থাকবে।’’