গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
১০০ দিনের কাজে বিপুল সাফল্য রাজ্যের। দেশের মধ্যে পর পর ৪ বছর শীর্ষস্থানে পশ্চিমবঙ্গ। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে বুধবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের দাবি, কোভিড সংক্রমণের মধ্যেও এ বছর বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এবং মানুষ যে বাবে কাজ পেয়েছেন তা নজিরবিহীন।
বুধবার নবান্নে ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পের সাফল্য আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি পর পর চার বছর শীর্ষে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘১০০ দিনের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ পর পর চার বছর প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই নাম্বার ওয়ান।’’ এই বছরের পরিসংখ্যানও দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, এ বছর প্রায় ৩৬ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। কাজ পেয়েছেন ১.১ কোটি মানুষ।
লকডাউনের সময় প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘লকডাউনে ঘরে ফেরা মোট ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৯৯ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। নতুন করে জব কার্ড দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০৪ জন পরিযায়ী শ্রমিককে।’’
পোশাকি নাম মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প। ইউপিএ জমানার এই প্রকল্প অবশ্য বেশি পরিচিত ১০০ দিনের কাজ নামে। কেন্দ্রের এই প্রকল্পে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষকে ন্যূনতম ১০০ দিন কাজের নিশ্চয়তা দেয় সরকার। গ্রামাঞ্চলে পুকুর খনন, ছোটখাটো রাস্তা তৈরি, জলাশয় নির্মাণ-সহ নানা ধরনের কাজ হয় এই প্রকল্পে। চালু হওয়ার পর থেকেই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে এই মনরেগা প্রকল্প। পঞ্চায়েত স্তরে বেড়েছে উন্নয়নমুখী প্রকল্প। সেই প্রকল্পেও রাজ্য সরকারের এই সাফল্য ঈর্ষণীয় বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন।