‘চালচিত্র ২’ নিয়ে পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনব পদ্ধতিতে খুন। তার থেকেও অভিনব দেহ রেখে যাওয়ার পদ্ধতি। খুনির একের পর এক নারীশিকার। সেই দেহ চালচিত্রে টাঙিয়ে দেওয়া! কখনও দেবী রূপে, কখনও দয়িতা। কখনও লালপাড়, সাদা শাড়িতে সজ্জিত সেই দেহ। গলায় ফুলের মালা। কখনও বেনারসিতে সজ্জিত দেহের নববধূ রূপ। ফিরদৌসল হাসান প্রযোজিত ছবি ‘চালচিত্র’-তে এটাই মুখ্য আকর্ষণ।
কিন্তু কেন খুনি লাশ চালচিত্রে টাঙিয়ে দেয়? খুব শিগগিরিই ছবি সিক্যুয়েলের শুটিং শুরু করতে চলেছেন পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত। তার আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। বললেন, “২০০৮-এ আমার প্রথম চিত্রনাট্য ‘ভ্যানিশ’। নানা কারণে ছবিটি তৈরি হয়নি। সেখানে খুনির নানা পদ্ধতিতে খুনের একটি পদ্ধতি দেহ চালচিত্রে টাঙিয়ে রাখা।” খুনি একটি মেয়েকে খুন করে গ্যারাজে চালচিত্রের মধ্যে টাঙিয়ে রেখে যাবে। গোয়েন্দা সূত্র ধরে খুঁজতে খুঁজতে হাজির সেখানে। লাশ রেখে যাওয়ার ভঙ্গি দেখে সেই গোয়েন্দাও একই সঙ্গে চমৎকৃত, বিস্মিত। সেই একটি ভঙ্গিকেই পটভূমিকায় রেখে রহস্য-রোমাঞ্চ ছবি ‘চালচিত্র’।
প্রতিমের আরও স্বপ্ন ছিল ‘ভ্যানিশ’-এ ঋতুপর্ণ ঘোষ আর অঞ্জন দত্ত অভিনয় করবেন। প্রয়াত পরিচালক হতেন খুনি, গোয়েন্দা অঞ্জন। সেই স্বপ্নপূরণের আর উপায় নেই। তাই শখ মেটাতে সেই খুনির আদলেই নাকি এই ছবির খুনির চরিত্র নির্মাণ। খুনি তাই খুন করে নারীদেহ চালচিত্রে টাঙিয়ে রেখে যায়। অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। যদিও ‘ভ্যানিশ’ ছবিটি তৈরির ইচ্ছে পুরোমাত্রায় রয়েছে পরিচালকের।
আপাতত ‘চালচিত্র’ ছবির সিক্যুয়েলেই মনোযোগী তিনি। কবে থেকে সিক্যুয়েলের শুটিং শুরু করবেন? প্রতিম জানিয়েছেন, অভিনেতা অপূর্ব ছ’মাসের জন্য মার্কিন মুলুকে, স্ত্রীর কাছে। সেখান থেকে ফিরবেন জুন মাসে। তার পর শুটিং। ছবির প্রিক্যুয়েল এবং সিক্যুয়েল দেখাবেন ‘চালচিত্র ২’-তে। সেই অনুযায়ী আগের ছবির সব অভিনেতাই থাকবেন। তবে সিক্যুয়েলে অনির্বাণ চক্রবর্তীর পরিবর্তে অভিনয় করবেন ওঁর বয়সী নতুন অভিনেতা। কারণ, আগের ছবিতে অভিনেতার মৃত্যু দেখিয়েছেন পরিচালক। ছবিমুক্তি বছরশেষে, বড়দিনে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরে ‘পুলিশ ব্রহ্মাণ্ড’ তৈরিতে সফল প্রতিম ডি গুপ্ত। তিন পরিচালক এক হয়ে কখনও নতুন ‘পুলিশ ব্রহ্মাণ্ড’-এর জন্ম দেবেন? প্রশ্ন শুনে পরিচালক খুশি। সঙ্গে দ্বিধা, বিষয়টি তিন পরিচালকের উপরে নয়, প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ, উইন্ডোজ় এবং ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস-এর উপরে নির্ভর করছে। তিন প্রযোজক এক হলেই সম্ভব এটি। প্রতিমের বিশ্বাস, আগামীতে এ রকম কিছু ঘটলে আখেরে বাংলা বিনোদন দুনিয়া লাভবান হবে।