কর্মক্ষেত্রেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে কৌস্তুভ ও প্রীতির। ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত মাথায় চুল রাখবেন না বলে ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। কিন্তু ততদিন কি আটকে থাকবে তাঁদের পরিণয়? আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে প্রশ্ন করা হয়েছিল কৌস্তভের প্রেমিকা তথা আদলতের সহযোদ্ধা প্রীতি করকে। স্পষ্ট উত্তরও দিলেন প্রীতি। বললেন, ‘‘আমি ওঁর জীবনের সব কিছুর সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। মাথায় চুল রইল কি রইল না, তা দিয়ে কী আসে-যায়?’’
তবে কি দিনক্ষণ ঠিক হলে এই অবস্থাতেই পরিণয় হয়ে যেতে পারে? না কি চ্যালেঞ্জ পূর্ণ না হওয়া এবং চুল গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা? প্রশ্ন শুনে প্রীতি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয়, বাংলার যা অবস্থা তাতে কৌস্তভের চুল গজানো পর্যন্ত বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় থাকবে না।’’
কৌস্তুভ ও প্রীতির সম্পর্কে নিয়ে যেটুকু জানা যায় তাতে দু’জনের ছাত্রাবস্থা থেকেই পরিচয়। সেটা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। পরে একে অপরকে ভাল লাগা এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরি। পরে একে অপরকে জীবনসঙ্গী করার সিদ্ধান্তও নিয়ে নেন। এই প্রসঙ্গে প্রীতি বলেন, ‘‘আমরা কবে বিয়ে করব সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটা আমি বলতে পারি সেটা যবেই হোক কৌস্তভের সব সিদ্ধান্তের সঙ্গেই আমি থাকব। আদালতে যেমন একসঙ্গে লড়াই করি, তেমন সহযোদ্ধা হিসাবে থাকব সারা জীবন।’’ শনিবার আদালতে জামিন পাওয়ার পরে কৌস্তুভ যে মাথা মুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তাতে কি মত ছিল প্রীতির? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রীতি বলেন, ‘‘ও যখন এমনটা করবে বলে ভেবেছিল তখন সবার আগে আমাকেই জানিয়েছিল। কে ওঁর মাথা কামিয়ে দেবেন সেটা আমিই ঠিক করেছিলাম। এতেই বুঝতে পারছেন যে আমি ওঁর সব লড়াইতেই রয়েছি।’’
কৌস্তুভ ও প্রীতির ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী বন্ধু এ নিয়ে রসিকতাও করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের জন্য মাথায় চুল থাকতে হয় নাকি? টোপরের তলায় চুল আছে না, ন্যাড়া সেটা তো দেখা যায় না।’’ প্রীতি অবশ্য এমন কথা শুনে শুধুই হেসেছেন। সেই সঙ্গে আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে বার বার বোঝাতে চেয়েছেন কী ভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করে আইন ভেঙেছে পুলিশ। সরকার পক্ষের কণ্ঠরোধ নিয়ে বেশি কথা বলতে চেয়েছেন বিয়ের প্রসঙ্গের চেয়ে।
গত দু’দিনের ঘটনা পরম্পরায় এখন অনেকটাই প্রচারের আলোয় কৌস্তুভ। অনেক মনে করছেন এর পরে তাঁর রাজনৈতিক উত্থানেও গতি আসতে চলেছে। তবে এর পরে কি নিজের প্রেমিককে তেমন করে কাছে পাবেন? এর জবাবে প্রীতি বলেন, ‘‘একটা সত্যি কথা বলি। কৌস্তুভ এখনই কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত। পেশা এবং রাজনীতি নিয়ে কাজের চাপে ব্যক্তিগত সময় কম। সবাই বলবে আমরা তো কাজের ক্ষেত্রে একসঙ্গেই থাকি। কিন্তু দু’টি মানুষের যে একান্ত ব্যক্তিগত পরিসর থাকে সেটা আমাদের এখনই নেই। সে সব মেনে নিয়েই আমাদের সম্পর্ক। এমনটাই থাকবে আগামী দিনেও।’’