এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রোর কাজ পরিদর্শনে কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চলছে। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ সুড়ঙ্গপথে জুড়লেই হাওড়া ময়দান থেকে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভে। কিন্তু এই অংশের কাজ আটকে বহু দিন। বৌবাজারে বিভিন্ন সময়ে বিপর্যয়ের কারণে মেট্রোর কাজ বার বার থমকে গিয়েছে। অবশেষে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহের মধ্যেকার সুড়ঙ্গের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে চলবে লাইন পাতার কাজও। জটিলতার কারণে আটকে থাকা এই অংশের পরিষেবা খুব শীঘ্রই চালু হবে, আশাবাদী মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের একাংশের মতে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই চালু হয়ে যেতে পারে পরিষেবা।
মঙ্গলবার কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় রেড্ডি, কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুজ মিত্তল মেট্রোর কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কাজের অগ্রগতি দেখে খুশি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আগামী বছর,অর্থাৎ ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই গ্রিন লাইনের এই অংশের কাজ শেষ করে পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে।
হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় যে অংশ মাটির নীচ দিয়ে যাবে, সেখানে দু’টি সুড়ঙ্গ রয়েছে। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ সেক্টর ফাইভমুখী সুড়ঙ্গের কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। লাইন পাতাও শেষ। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রোর খালি রেক প্রায়ই যাতায়াত করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহমুখী ওই সুড়ঙ্গ কাটার সময় সমস্যা হয় বৌবাজারের কাছে। ২০১৯ সালে অগস্ট মাসে সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নামে বৌবাজার এলাকায়। তড়িঘড়ি বন্ধ করতে হয় কাজ। নির্মীয়মাণ ওই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার। ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবরে ওই অংশ কাজ করার সময় দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জল ঢুকে পড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে। বার বার বিপত্তির কারণে কাজ বন্ধ হওয়ায় এত দিনেও শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা চালু সম্ভব হয়নি।
পরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং উন্নতমানের যন্ত্র, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাজ শুরু করেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই পরিষেবা চালু করার দিকে কয়েক ধাপ এগোলেন তাঁরা।