ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
ঋষভ পন্থকে ছাড়তে চায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। আবার পন্থও আর দিল্লির হয়ে খেলতে চাননি। দলের দুই কর্ণধারের কাছ থেকে পন্থ প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলেন, নিলামের সময় তাঁর জন্য দর হাঁকবেন না দিল্লি কর্তৃপক্ষ। তবু এক দম শেষ মুহূর্তে পন্থকে ফিরে পাওয়ার জন্য রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) ব্যবহার করেন দিল্লি কর্তৃপক্ষ!
পন্থকে কথা দিয়েও কেন তাঁর জন্য দিল্লি শেষ মুহূর্তে ঝাঁপাল? বিশ্বাস ভঙ্গের কারণ কী? দিল্লির অন্যতম কর্ণধার পার্থ জিন্দল জানিয়েছেন, হৃদয়ের ডাক উপেক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। তাই নিলামে পন্থের দর ডাকা শেষ হলে আরটিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি কর্তৃপক্ষ। নিলামে পন্থের জন্য সর্বোচ্চ ২০ কোটি ৭৫ লাখ দিতে চেয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এর পর নিলামের সঞ্চালিকা মল্লিকা সাগর দিল্লির কাছে জানতে চান, তারা আরটিএম ব্যবহার করতে চায় কিনা। কিছু ক্ষণ আলোচনার পর দিল্লি আরটিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে লখনউ রেকর্ড ২৭ কোটি টাকা দাম দেওয়ায় পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয় দিল্লি।
এই প্রসঙ্গে পার্থ বলেছেন, ‘‘গত অক্টোবরেই পন্থ আমাদের (দলের দুই কর্ণধার) সঙ্গে আলোচনায় জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির হয়ে আর খেলতে চায় না। নতুন কোনও দলের হয়ে আইপিএল খেলার ইচ্ছার কথা জানায় আমাদের। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। আমরা পন্থকে রাখতেই চেয়েছিলাম। থাকার জন্য অনুরোধও করেছিলাম। তবু, ও রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা পন্থের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পন্থকে আমরা কথা দিয়েছিলাম, নিলামের সময় ওকে পাওয়ার চেষ্টা করব না।’’ তা হলে কেন আরটিএম ব্যবহার করা হল? পার্থ শুধু বলেছেন, ‘‘শেষ মুহূর্তে আমরা হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। আবার কথার খেলাপ হোক তাও চাইনি।’’
পার্থ বোঝাতে চেয়েছেন, পন্থকে ধরে রাখার জন্য তাঁরা কতটা আন্তরিক ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় খুশি দিল্লির অন্যতম কর্ণধার। পন্থের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়নি বলেও দাবি করেছেন।