—প্রতীকী চিত্র।
বিহার থেকে কলকাতায় এসে কেন খুন হয়ে গেলেন ১৮ বছরের অঞ্জলি কুমারী? তদন্তে পুলিশের কাছে যে যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে সম্পর্কজনিত জটিলতার ফলে খুন হয়ে থাকতে পারে বলেও প্রাথমিক অনুমান।
সোমবার মধ্য কলকাতার এন্টালিতে একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় অঞ্জলির মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবারই বিহার থেকে অঞ্জলিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় আসেন চিত্তরঞ্জন কুমার নামের এক যুবক। এই যুবকই পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
চিত্তরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর বাড়ি বিহারের মোতিহারিতে। অঞ্জলির বাড়ি মধুবনীতে। পুলিশ সূত্রে খবর, চিত্তরঞ্জনের দাদা মারা গিয়েছিলেন কিছু দিন আগে। এর পর বিধবা বৌদির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর। সেই চিত্তরঞ্জন যখন অঞ্জলিকে নিয়ে কলকাতায় আসেন, তার আগে বা পরে বিহার থেকে চলে এসেছিলেন তাঁর হবু শ্বশুরও। তাঁকে এবং তাঁর দুই সঙ্গীর এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ।
চিত্তরঞ্জন অঞ্জলিকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। এই দু’জনের সম্পর্ক কী, এই সম্পর্ক নিয়ে ভাবী শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনও বিবাদ চলছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
তবে খুন যিনি বা যাঁরাই করে থাকুন, তিনি বা তাঁরা চিত্তরঞ্জনের পূর্বপরিচিত বলেই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এন্টালির যে বাড়িতে চিত্তরঞ্জন এবং অঞ্জলি উঠেছিলেন, তার মালকিনের নাম জয়ন্তী। সেই প্রৌঢ়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।