Shantanu Banerjee

‘প্রভাবশালী’দের কথায় সব করেছি, ইডিকে বলেছেন শান্তনু, কোটি টাকার হদিস যুবনেতা, স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে

আর এক ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, যাঁকে নিয়োগকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু, তাঁর মাধ্যমে প্রভাবশালীদের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করানো হত বলে জেরায় জানিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৯
File image of Shantanu Banerjee

জেরায় প্রভাবশালীদের নির্দেশে ‘কাজ’ করার কথা কবুল শান্তনুর? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে ‘প্রভাবশালীদের’ প্রসঙ্গে জানতে পারলেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু দাবি করেছেন, কয়েক জন প্রভাবশালীর নির্দেশে কাজ করেছেন তিনি। কুন্তলকে সেই নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্ব তিনি দিতেন বলেও দাবি করেছেন ধৃত যুবনেতা। অন্য দিকে, শান্তনু, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ‘ফ্রিজ়’ করে দিয়েছে ইডি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে আবার ফিরে এল ‘প্রভাবশালী’ শব্দবন্ধ। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু তাদের কাছে দাবি করেছেন, কয়েক জন প্রভাবশালীর নির্দেশেই তিনি ‘সব কাজ’ করেছেন। হুগলিরই আর এক ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, যাঁকে নিয়োগকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু, তাঁর মাধ্যমে প্রভাবশালীদের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করানো হত বলেও তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বর্ণিত ‘প্রভাবশালী’ কারা, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। শান্তনুর দাবির যথার্থতাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

Advertisement

অন্য দিকে, শান্তনুর লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ায় ধৃত যুবনেতা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার নামে খোলা ২০টির মতো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে ইডি। অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করার অর্থ হল, সেই খাতা থেকে নতুন কোনও লেনদেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়ার প্রক্রিয়া। ইডি সূত্রের খবর, ‘ফ্রিজ়’ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকারও বেশি গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় গেল, কবে গেল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে গ্রেফতার করে ইডি। তার আগে, গত ২১ জানুয়ারি ইডির হাতেই গ্রেফতার হন কুন্তল। প্রকৃতপক্ষে, কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর কথা জানতে পারে ইডি। তার পর একাধিক বার জেরা করার পর গ্রেফতার। গ্রেফতার হওয়ার পর এই দুর্নীতি মামলায় কুন্তলকেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু। নিজেকে নির্দোষ বলেও জানান। যদিও শুক্রবার শান্তনুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কুন্তল পাল্টা জানান, ‘‘অপ্রাসঙ্গিক কথার উত্তর দেব না।’’

এই প্রেক্ষিতে ইডি সূত্রে খবর মিলল, জেরায় প্রভাবশালীদের নির্দেশ পালনের কথা জানিয়েছেন শান্তনু। সেই নির্দেশ কুন্তলের মাধ্যমে কার্যকর করার দায়িত্ব শান্তনু দিতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement