আরজি কর হাসপাতালের বেডে বসে অনিকেত মাহাতো। সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। —ফাইল চিত্র।
১০ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। তবে এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে তাঁর। অনিকেতকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন আরজি করের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড আগামিকাল সব রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে বলে জানিয়েছেন আরজি করের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী। ওই আলোচনার পরে অনিকেতকে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ভর্তির পর থেকে আরজি করের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন অনিকেত। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সেখান থেকে বার করা হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে রয়েছেন এইচডিইউতে। হালকা খাবারও খাওয়ানো শুরু হয়েছে। ৬ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছিলেন তিনি। পঞ্চম দিনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনশন থেকে ওঠার কারণে আপাতত তেল-ঝাল ছাড়া খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। খাবারের পরিমাণের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তাঁর শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে এখনও। রক্তচাপও ওঠানামা করছে। সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন চিকিৎসকেরা।
আরজি করের চিকিৎসক সৈকতের মতে, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শরীরের দিকে নজর রাখতে হবে অনিকেতকে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরেও ১০-১২ দিন তাঁর বিশ্রামে থাকা উচিত। ওই সময়ে খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর রাখতে হবে। তার পরে হাসপাতালের ডিউটিতে যোগ দিতে বা অন্য কাজকর্ম করতে পারবেন।
অনিকেত ছাড়াও ধর্মতলা ও শিলিগুড়ির ‘আমরণ অনশন’ মঞ্চের একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চেও অলোক বর্মা এবং সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পুলস্ত্যের এখনও মাঝেমধ্যে জ্বর আসছে। শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা রয়েছে। অন্য দিকে, এখন কিছুটা সুস্থ অনুষ্টুপ। স্বাভাবিক মলত্যাগ করছেন তিনি। খাবারও খাচ্ছেন মুখ দিয়েই। আগের থেকে কিছুটা সুস্থ তনয়াও। তবে শরীরে পটাশিয়াম কিছুটা কম।