Pass- Fail

রাজ্যে পঞ্চম ও অষ্টমে কি পাশ-ফেল থাকবে? ধন্দ বহাল

পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা চালু হয়ে যাবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১৭
অন্ধকারে বেশ কিছু স্কুলগুলি।

অন্ধকারে বেশ কিছু স্কুলগুলি। — প্রতীকী চিত্র।

স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু এ রাজ্যে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষেরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা চালু হয়ে যাবে। কিন্তু এই রাজ্যে আদৌ পাশ-ফেল চালু হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও ধন্দে শিক্ষকেরা। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও তাঁরা পাননি। ওই শিক্ষকদের মতে, পাশ-ফেল চালু হোক বা না হোক, সে ব্যাপারে স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি দরকার। শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে এই বিজ্ঞপ্তি বেরোলে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করতে অসুবিধার সম্মুখীন হবে স্কুলগুলি।

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু করার কথা কেন্দ্র বলেছিল গত ডিসেম্বরে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই রাজ্যে ২০১৯ সালেই গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালুর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, গেজেট বিজ্ঞপ্তি হলেও দুই শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু হয়নি।

যোধপুর পার্ক বয়েজ় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার, মিত্র ইনস্টিটিউশন, ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ওঠা অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকেরাই জানতে চাইছেন, এ বার কি এই দুই শ্রেণিতে সত্যিই পাশ-ফেল চালু হচ্ছে? চালু হলে পাশ নম্বর কত হবে? অথচ, এর উত্তর জানা নেই শিক্ষকদেরও।
পাশ-ফেল চালু হলে বাংলার শিক্ষা পোর্টালেও কিছু পরিবর্তন দরকার। তেমন কিছুও এখনও চোখে পড়েনি শিক্ষকদের।

শুধু পঞ্চম এবং অষ্টমে পাশ-ফেলই নয়, প্রাথমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠন যে চালু হচ্ছে না, সেই বিষয়েও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়া দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বলে দিয়েছিলেন, প্রাথমিকেও চালু হবে সিমেস্টার। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, তা হবে না। যেমন ভাবে পঠনপাঠন চলছিল, তেমনই চলবে। প্রাথমিকে যে সিমেস্টার চালু হচ্ছে না, তার লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন