RG Kar Medical College and Hospital Incident

আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে গাফিলতি? আগের এবং পরের ১০টি রিপোর্ট চাইল সিবিআই

আরজি করে মৃতার আগের ও পরের পাঁচটি করে দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে সিবিআই। ওই ১০টি রিপোর্টের সঙ্গে মৃতার রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে ময়নাতদন্তে কোনও রকম ইচ্ছাকৃত গাফিলতি করা হয়েছে কি না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ঘিরে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। ওঠে ময়নাতদন্তে গাফিলতির অভিযোগও। সেই আবহেই এ বার আরজি করে ময়নাতদন্তের গুণমান যাচাই করতে আরও ১০টি দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই।

Advertisement

গত ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, গভীর রাতে হাসপাতালের সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুন করা হয় তাঁকে। আরজি কর হাসপাতালেই সেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার দিন থেকেই মৃতার ময়নাতদন্ত ঘিরে নানা মহলে শুরু হয় জল্পনা। ময়নাতদন্তে গাফিলতির অভিযোগও তোলেন কেউ কেউ। অথচ এর পরেও তদন্তের স্বার্থে সেই রিপোর্ট একাধিক বার পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক পরীক্ষাগারে। পাঠানো হয়েছে নানা নমুনাও। কিন্তু বিতর্ক থামেনি। এ বার সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল সিবিআই। আরজি করে ময়নাতদন্তের মান যাচাই করতে নির্যাতিতার মৃত্যুর আগে ও পরের পাঁচটি করে দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। নির্দেশ মেনে সিবিআইকে মোট ১০টি দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠাবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ওই ১০টি রিপোর্টের সঙ্গে আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে মৃতার দেহের ময়নাতদন্তে কোনও রকম ইচ্ছাকৃত গাফিলতি করা হয়েছে কি না। এ ছাড়া, আরজি করে অন্যান্য দেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি হয় কি না, নমুনায় কোনও রকম কারচুপি কিংবা অদলবদল হয় কি না, সে সবও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। অন্যান্য হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গেও আরজি করের দেওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে।

গত ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আরজি করেই তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ছিল ক্ষতচিহ্ন। চিকিৎসক পড়ুয়াকে যে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’ করা হয়েছে, রিপোর্টে লেখা ছিল তা-ও। ধর্ষণের প্রমাণ হিসাবে যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানোর উল্লেখ ছিল সেই রিপোর্টে। পরবর্তীতে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এগিয়েছে তদন্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement