Calcutta High Court

ডাক্তার বাড়ন্ত, তাই উচ্চশিক্ষায় ‘না’! রাজ্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে চিকিৎসক

২০১৬ সাল থেকে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসকের দায়িত্বে রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি সার্জারি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান বলে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ‘স্টাডি লিভ’-এর আবেদন করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২১

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক সঙ্কট চলছে। তাই এখনই আর কোনও চিকিৎসককে পড়াশোনার জন্য ছুটি দেওয়া সম্ভব নয়। একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে এমনই ব্যাখ্যা দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যদিও বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। তাঁর নির্দেশ, চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষায় কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে তথ্য দিতে হবে।

Advertisement

২০১৬ সাল থেকে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম। বর্তমানে ওই চিকিৎসক সার্জারি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ‘স্টাডি লিভ’-এর জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্য তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি বলে দাবি ওই চিকিৎসকের। তাঁর আরও দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এমন ৪৮৯ জন চিকিৎসককে ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি দেওয়া হয়েছে। তাই এখন রাজ্যে চিকিৎসক সঙ্কট চলছে। আরও বেশি চিকিৎসককে ছাড় দেওয়া হলে সঙ্কট আরও বাড়বে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে বলেও জানান সিরাজুল। ফলে এই অবস্থায় নতুন করে কাউকে আর ‘এনওসি’ দেওয়া যাবে না। রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে মামলা করেন সিরাজুল।

বুধবার ওই মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলে, এমবিবিএস চিকিৎসকদের ‘স্টাডি লিভ’ দেওয়া হবে না কেন? উচ্চ আদালত জানিয়েছে, অনুমতি দিতে কী কী অসুবিধা রয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে রাজ্যকে জানাতে হবে। দু’সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement