Calcutta High Court

কম্বল কাণ্ডে জিতেনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কেন? পুলিশকে নতুন নির্দেশ হাই কোর্টের

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান হয়েছিল আসানসোলে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:১৩
Calcutta High Court directs Police to inquiring the case against BJP Councilor Chaitali Tiwari in Blanket distribution case

এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট চৈতালিকে তদন্তে সমস্ত রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেয়। —ফাইল চিত্র।

আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্টের ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, কোনও কারণ ছাড়াই মাঝপথে পুলিশ ওই মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই ঘটনা আদালতকে অবাক করেছে। এর পর বিচারপতির নির্দেশ, পুলিশকে আবার তদন্ত শুরু করতে হবে। সপ্তাহে ৩ দিন ২ ঘণ্টা করে চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। তবে তাঁর রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে নথি জাল সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে তা-ও পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা।

অন্য দিকে, ওই ঘটনায় চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান হয়েছিল আসানসোলে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। সেখানেই ঘটে যায় মারাত্মক ঘটনা৷ শুভেন্দু অধিকারী নিজের হাতে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করার পর ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যান। এর পর কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের৷ এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় জোর চাপান-উতোর। কারণ, পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রশাসনের কাছ থেকে ওই সভার জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পর এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চৈতালি-সহ আরও দুই কাউন্সিলরের নামে অভিযোগে দায়ের হয়।

এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট চৈতালিকে তদন্তে সমস্ত রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেয়। তবে তাঁকে গ্রেফতার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। হঠাৎই এই মামলার তদন্ত কেন থমকে গেল এ নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement