আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায় ধর্না বিজেপি বিধায়কদের। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায় ধর্না দিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। বুধবার বিধানসভার ভবনের সামনে বসে স্লোগান তোলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, আরজি করের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁর এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়কের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘একটাই দাবি— স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’ একই দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও।
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল থেকে মেলে এক চিকিৎসকের দেহ। এ নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের ‘বিশেষ দল’। ইতিমধ্যে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার রাতে ‘প্রতীকী’ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। ‘মেয়েরা রাত দখল করো’র স্লোগান সামনে রেখে আজ রাতভর যে অরাজনৈতিক জমায়েতের ডাক প্রথমে দেওয়া হয়েছিল কলকাতায়, এখন রাজ্য জুড়েই সেই আহ্বান ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বাড়ছে উত্তাপ। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তিনি কোনও বার্তা দেন কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক শিবিরের।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক হিসাবে একটাই দাবি বাকি থাকল— তা হচ্ছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এখনই ইস্তফা দিতে হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে। তার জন্য গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন চলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র সংবেদনশীল নাগরিক, ছাত্রসমাজ, বেকার, বিশেষ করে মাতৃশক্তি তাঁদের বলব, তাঁরা একটা দাবিতেই আন্দোলন করুন। এই রাজ্যের এই সমস্ত জঘন্য, নারকীয়, বর্বর ঘটনার যিনি ‘কুইনপিন’ , যিনি আসল স্থপতি তাঁর পদত্যাগ হবে একমাত্র দাবি। এবার মূল দাবির জন্য আন্দোলনে নামতে হবে।’’ পাশাপাশি, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের ‘মেয়ারা রাত দখল করো’ কর্মসূচিকে সমর্থনকেও সাধুবাদ জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টা তৃণমূলের নয়। সরকার এবং অব্যস্থতার। তাঁর (সুখেন্দুশেখর রায়) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানব।’’