R G Kar Doctor's Death

দ্রুত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চান? কী করতে হবে, ‘চাপে’ পড়ে ভিডিয়ো পোস্ট পুলিশের? সঙ্গে আবেদন, ‘সঙ্গে থাকুন’

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উঠছে একের পর পর প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের ভিড়ের মধ্যে রয়েছে ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১২:০৬
West Bengal Police clarified how to get Post mortem report fast

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ার উপায় জানাল পুলিশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দ্রুত পেতে কী করতে হবে, তা সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। কী ভাবে সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তার কয়েকটি প্রক্রিয়াও ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই ভিডিয়োয়। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে গোটা দেশে, সেই আবহে রাজ্য পুলিশের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি ‘চাপে’ পড়েই এই ভিডিয়ো পোস্ট?

Advertisement

আস্বাভাবিক মৃত্যু হলে দেহের ময়নাতদন্ত করাই পুলিশের প্রাথমিক কাজ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হয়, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, কখন হয়েছে ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নানান প্রশ্নের উত্তর। তদন্তে পুলিশের অন্যতম হাতিয়ারই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মৃতের পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনেরও অধিকার থাকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার। মৃতের পরিবারের অনেকেই অভিযোগ তোলেন, এই রিপোর্ট পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। হয়রানির অভিযোগও ওঠে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। অনেক সময় আবার দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে যান মৃতের আত্মীয়েরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া মোটেই জটিল বিষয় নয় বলেই জানাল রাজ্য পুলিশ।

ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টও আরজি কর মামলার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার পরই বুধবার দেখা গেল রাজ্য পুলিশ ভিডিয়োবার্তা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রুত হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করল। শুধু আরজি করের ঘটনা নয়, অতীতেও অনেক ঘটনায় ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। পরিবারের লোকেদের কাছে স্পষ্ট ধারণা থাকে না, তাঁরা কোথা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে হাসপাতালে দৌড়তে হবে না কি থানায়, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। সেই ধোঁয়াশাই কাটাতেই ভিডিয়োবার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সমাজমাধ্যমে একটি এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োর মধ্যেই রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।

ভিডিয়োয় হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, “অনলাইনে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার সুবিধা এখনও চালু হয়নি। খুব শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া অনলাইন ব্যবস্থায় মিলবে। তবে যত দিন না সেই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, তত দিন থানা থেকেই মিলবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।”

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে অনেকেই দালালচক্রের কবলে পড়েন বলে অভিযোগ। গাঁটের কড়ি খরচ করার পরই হাতে পাওয়া যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, তেমনও অভিযোগ শোনা যায়। প্রবীণ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে কোনও টাকা দেওয়ার প্রয়োজনই নেই। বিনামূল্যেই থানা থেকে পাওয়া যাবে। তিনি তিনি আরও জানান, যদি কেউ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে সরাসরি জেলা কন্ট্রোলরুম বা কমিশনারেটে যোগাযোগ করতে পারেন। শেষে পুলিশের পাশে থাকার আবেদনও করেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার।

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উঠছে একের পর পর প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের ভিড়ের মধ্যে রয়েছে ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ও। অনেকেই, মৃত চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন আরজি কর হাসপাতালেই মৃতার ময়নাতদন্ত করা হল, তা নিয়েও অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, নিয়ম মেনেই ওই চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এমনকি তার রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।

আরও পড়ুন
Advertisement