R G Kar Protest

চিকিৎসকদের একাংশের আপত্তির জের, কলকাতা পুরসভা দুই হাসপাতালে হেল্প ডেস্ক বন্ধ করে দিল

পুর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ধরনের শিবির আর কোনও জায়গায় হবে না। আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। অভিযোগ, তার জন্য বহু রোগী জরুরি বিভাগে এসেও ফেরত যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৯
Amid doctors protest KMC shut down 24 hour help desk outside R G Kar and National Medical College

হাসপাতালে হেল্প ডেস্ক বন্ধ হল। ছবি: সংগৃহীত।

চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে রাজ্য জুড়ে। এর মধ্যে জরুরি পরিষেবার জন্য শহরের দু’টি হাসপাতালের সামনে সহায়তা শিবির (হেল্প ডেস্ক) খোলা হয়েছিল ৷ কিন্তু শনিবার সেগুলি বন্ধ করল কলকাতা পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

পুর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ধরনের শিবির আর কোনও জায়গায় হবে না। আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। অভিযোগ, তার জন্য বহু রোগী জরুরি বিভাগে এসেও ফেরত যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে। এমনকি, বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে আরজি করে। এই পরিস্থিতিতে পুর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সূত্রের খবর, পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশের আপত্তির জেরেই এই পদক্ষেপ।

কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র শনিবার জানিয়েছে, রোগীদের কথা ভেবে শহরের দু’টি হাসপাতাল— আরজি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে দু’টি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল বাকি হাসপাতালগুলির সামনেও এমন শিবির করার। কিন্তু পুর চিকিৎসকদের একাংশই ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। শুক্রবার তাঁরা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়ে জমা দিয়েছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন এবং কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা চিকিৎসক সুব্রত রায়চৌধুরীর কাছে।

দীর্ঘ আলোচনার পর চিকিৎসকদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করলেন পুর কর্তৃপক্ষ। ওই সূত্র জানাচ্ছে, পুর কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য ভবনের তরফে সহায়তা কেন্দ্র গড়া নিয়ে কোনও লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ফলে পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ আপত্তি তুলেছিলেন। যে হেতু দু’টি হাসপাতালের নিজস্ব চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে, তাই শুধু মাত্র মৌখিক নির্দেশের ভিত্তিকে সহায়তা কেন্দ্র খুলে কাজ করতে গিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ওই চিকিৎসকদের স্মারকলিপিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুরসভার কোনও আধিকারিকও প্রকাশ্যে এই ধরনের সহায়তা শিবির খোলার কোনও নির্দেশ দিয়েছেন বলে স্বীকার করেননি।

আরও পড়ুন
Advertisement