Sandeshkhali Incident

‘আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ, তবে আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি’! সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে আবার মুখ খুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোরপাধ্যায়। জানালেন, যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি আগে কখনও শোনেনি। এ নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ এবং ক্রুদ্ধ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৭
justice Abhijit Gangopadhyay

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালি নিয়ে আবারও মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার ওই ব্লকে মহিলা নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা শুনে তিনি বিস্মিত বলেই জানিয়েছেন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।’’ এর আগে গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইডির উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। হাসপাতালেও গিয়েছিলেন আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের দেখতে।

Advertisement

সন্দেশখালি এখন ভিন্ন এক অভিযোগে উত্তপ্ত। শাহজাহানের খোঁজ এখনও মেলেনি। তবে তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ উঠেছে নারী নির্যাতনেরও। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনারই ব্যারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এ সব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যে সব কথা ওঁরা বলছেন— বলা হচ্ছে, রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত!’’ একটু থেমে বিচারপতির সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।’’

সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করেছে যে মহিলাদের ‘আলাদা’ চোখে দেখতেন শাহজাহানের শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর বাহিনীর লোকেরা। জোর করে তাঁদের মিটিং-মিছিলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। রাতের দিকেও বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না গেলেই দেওয়া হত হুমকি। সে সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এ বার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি।

সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। গিয়েছিল রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালিতে তাঁরা এমন কোনও মহিলাকে পাননি যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করানো হত বলে গ্রামবাসীরাই তাঁদের জানিয়েছেন বলে দাবি ছিল লীনার। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের ১০ সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে। মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?’’

আরও পড়ুন
Advertisement